অনলাইন ডেস্ক: শতকরা ২০ শতাংশ মানুষ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সম্মুখীন হয়। অনিয়মিত জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর কতে রান্নাঘরের কয়েকটি উপাদানের নাম এখানে দেওয়া হল।
স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ: চর্বি সবসময় খারাপ নয়, তাছাড়া শরীর ঠিক রাখতে কিছু তেল গ্রহণ আবশ্যক। জলপাইয়ের তেল, ক্যাস্টর তেল, তেল সমৃদ্ধ শরীরের জন্য উপকারী। এই তেলগুলো অন্ত্রের কার্যক্ষমতা নিয়মিত করে।
পুদিনা বা আদার চা: যখন কোনো পদ্ধতিই কাজ করে না তখন চা এক মাত্র ভরসা। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এটা সবচেয়ে পরিচিত ও কার্যকর পদ্ধতি।
পুদিনা ও আদায় আছে শক্তিশালী ‘এনজাইম’ যা হজম ক্রিয়ায় সাহায্য করে।
আদা উষ্ণ খাবার, যা পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। খাওয়ার আগে বা পরে পুদিনা অথবা আদার চা শরীরকে বিষ মুক্ত করতে সাহায্য করে ফলে এই সমস্যা দূর হয়।
বেইকিং সোডা: পাকস্থলির অ্যাসিড শরীরের কার্যক্রিয়ার ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।
যখন সোডিয়াম কার্বোনেট দেহের অপরিহার্য অ্যাসিডগুলোর সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে তখন কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও পানি নির্গত হয়। ফলে পেট ঠিক মতো পরিষ্কার হয়।
লেবুর পানি: সিট্রাস-জাতীয় খাবারে ভালো পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি থাকে যা শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পানি হজমে সহায়তা করে। তাই পেটের যে কোনো সমস্যা এড়াতে প্রতিদিন এক গ্লাস তাজা লেবুর রস পান করার চেষ্টা করুন।
তিলের বীজ: তিলের বীজ পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। এতে আছে অত্যাবশ্যকীয় তেল যা শরীরের পক্ষে ভালো। এই বীজ পেট পরিষ্কার করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
আঁশ-জাতীয় খাবার: যেমন- পাতাবহুল সবজি খাবার তালিকায় রাখুন। স্বাভাবিকভাবে দেহের ময়লা বের করে দিয়ে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শষ্য, বাদাম, ওটস ও ডাল-জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকলে তা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
আলুবোখারা: প্রাকৃতিকভাবেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা পেতে এটা সাহায্য করে। এতে ভালো পরিমাণে শর্করা অ্যালকোহল থাকে, যা পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
রান্নাঘরের উপাদানে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
পূর্ববর্তী পোস্ট