দেশের খবর: সড়কে গাছ ফেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পরিবহনে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় যাত্রীদের মারধর করে টাকা, মোবাইল সেটসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। ডাকাতদের হামলায় অন্তত ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বিটিআরআই পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানায়, কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বিটিআরআইয়ের পাশে বেলতলী এলাকায় গাছ ফেলে ২৫/৩০ জনের ডাকাতদল যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এ সময় বাস, প্রাইভেটগাড়ি ও বেশকিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ও যাত্রীদের মারধর করে মুঠোফোন ও টাকা-পয়সা লুট নেয় তারা।
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফের একটি স্টাফ বাস ডাকাতির শিকার হয়। ওই বাসের চালকসহ অন্তত ১২ যাত্রী আহত হন। মারধর করে তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি মুঠোফোন ও নগদ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়।
আহতরা জানান, ডাকাতরা ওই সড়কে যাত্রীদের প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে রাত ১টার দিকে পুলিশ আসলে তারা চা বাগানের দিকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আহত সিএনজি অটোচালক আলম শেখ বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডাকাতি শুরু হয়। ৩৫ জনের মতো ডাকাত ছিল। ডাকাতদের মধ্যে কারও হাতে চাকু, কারও হাতে পিস্তল, কারও লাঠি ও দা ছিল। তারা মারধর করে অন্তত ২০টি গাড়িতে লুটপাট করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘৮ থেকে ১০টি যানবাহনে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’
ডাকাতির শিকারে আহতরা ব্যক্তিরা হলেন- গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ হোটেলের সহকারী ম্যানেজার ইমরান হোসেন (৩৮), আশরাফুল ইসলাম (২৭), ড্রাইভার মনি সিংহ (৪৫), আরিফ রানা (২৮), হেলাল উদ্দিন (৩০), সোহেল মিয়া (১৮), সুজন বৈদ্য (৩০), দুলাল মিয়া (১৮), মিনহাজ (২০), মোহাম্মদ আলী (২৪), মো. আলম শেখ (১৯), মো. জুয়েল (১৭)। তারা শ্রীম্ঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ফিল্মি স্টাইলে সড়কে গণডাকাতি, আহত ৩০
পূর্ববর্তী পোস্ট