সোহরাব হোসেন: জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ সাতক্ষীরা জেলাকে ১৫ ওয়ার্ডে বিভক্ত করে ১৩নং বুধহাটা-কুল্যা-কাদাকাটি-বড়দল-দরগাহপুর-খেশরা ইউনিয়নকে নিয়ে ১৩নং ওয়ার্ড গঠিত হয়েছে।
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ১৩নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ১২ডিসেম্বর তারিখে প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পরে ১৩নং ওয়ার্ডে দিনরাত ভোটদের কাছে ধর্ণা দিয়ে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরে আশাশুনির বুধহাটা, কুল্যা, কাদাকাটি, দরগাহপুর, বড়দল ও তালার খেশরা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১৩ নং ওয়ার্ডে বইতে শুরু করছে নিবার্চনী হাওয়া।
১৩নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য প্রার্থীর সংখ্যা ৫জন। তারা ভোর থেকে গভীর রাত পযর্ন্ত জনপ্রতিনিধি, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিসহ নানা আশ্বাস দিয়ে চলেছেন।
অন্যদিকে, সাধারণ মানুষেরও আগ্রহের কমতি নেই। আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা, কুল্যা, কাদাকাটি, বড়দল, দরগাহপুর তালা উপজেলার খেশরা নিয়ে গঠিত হয়ছে ১৩ নং ওয়ার্ড। এতে ১জন পুরুষ সদস্যকে নির্বাচন করবেন ৮০ জন ভোটার ভোট দিয়ে।
তবে এই ওয়ার্ডের প্রার্থীরা সবাই আ’লীগ সমার্থিত। যারা প্রার্থী আছেন তারা ভোটাদের কাছে মোবাইল ফোনে ও সারাসরি গিয়ে ভোট চাওয়াসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন- বুধহাটা ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি এটিএম আক্তারুজ্জামান, তার প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট। কুল্যা ইউনিয়নের আ’লীগ নেতা এস এম দেলোয়ার হুসাইন তার প্রতীক টিউবওয়েল। সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের প্রতীক তালা। আ’লীগ নেতা ওমর সাকি ফেরদৌস (পলাশ) এর প্রতীক হাতি ও আ’লীগ নেতা মাহফুজুর রহমানের প্রতীক বৈদ্যুতিক পাখা।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের কথা থাকলেও শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচনের গুরুত্ব কম থাকলেও সুশীল সমাজ মনে করে জেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এ নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক। সবাই আ.লীগের প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররা সকলকে বলছেন আপনাকে ছাড়া আর কাকে ভোট দিবো!
প্রার্থীরা প্রতিদিন ভোটারদের বাড়ি অথবা মোবাইল ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন ভোটার দৈনিক আজকের সাতক্ষীরাকে জানান, সময় অসময় প্রার্থীরা আমাদের কাছে মোবাইল ফোনে ভোট চ্ওায়া থেকে আরম্ভ করে ভালমন্দ জিজ্ঞাসাসহ বিভিন্ন আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে কাদাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবু দিপঙ্কার সরকার জানান, যোগ্য যে তাকে আমরা ভোট দেবো। কারণ জেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠান, সেখানে একটি সদস্যদের অনেক মূল্য।
পূর্ববর্তী পোস্ট