অনলাইন ডেস্ক: প্রতিদিন আমরা তরকারি রান্না ছাড়াও কাঁচা মরিচ খেয়ে থাকি। এছাড়া ঝাল খাবার, সালাদ, চাটনি বা সাইড ডিশ হিসেবে কাঁচা মরিচ খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। আপনি জানেন কী দেশীয় খাবারে বহুল ব্যবহৃত কাঁচা মরিচের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ।
কাঁচা মরিচ ভিটামিন সি’র অত্যন্ত ভালো একটি উৎস। আরও রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন এ, লোহা, কপার, পটাশিয়াম, অল্প পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। এছাড়া কাঁচা মরিচে রয়েছে পানি ও ক্যারোটিন-বি, ক্যারোটিন-এ, লিউটেইন-জিজান্থিনের মতো ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। কোলেস্টেরল নেই একেবারেই।
আসুন জেনে নেই কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্যগুণ।
ডায়াবেটিস
মরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া পাশাপাশি কাটাছেঁড়ার ক্ষেত্রে রক্তপাতও বন্ধ করে।
হজম
ডায়েটারি ফাইবারে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে কাঁচালঙ্কা হজমের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে কাঁচা মরিচ। হঠাৎ ঠাণ্ডা সমস্যা ও সাইনাসের সমস্যা থেকে বাঁচায় কাঁচা মরিচের থাকা ক্যারাসাসিন।
চোখ
প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকার কারণে চোখ ও ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী কাঁচালঙ্কা।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট
কাঁচালঙ্কায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকার কারণে রক্তে ফ্রি র্যাডিক্যালসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ভিটামিন
কাঁচালঙ্কায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা শরীরে অন্যান্য ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি
কাঁচালঙ্কার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। যা শরীরে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ফুসফুস
প্রতিদিন কাঁচা মরিচ খেয়ে ঠাণ্ডা, কাশি এমনকি ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়া কাঁচা মরিচ টিস্যু পুনর্গঠন করে, নতুন রক্তকোষ তৈরি করে, হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী করে।
বয়স ধরে রাখে
যারা নিয়মিত কাঁচা মরিচ খান তাদের ত্বক থাকে বলিরেখা মুক্ত। এটি বয়স ধরে রাখতে জাদুকরি একটি উপাদান।
কোষ্ঠকাঠিন্য
কাঁচা মরিচ শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন অপসারণ করে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ হয়। ডায়েটারি ফাইবারের ভালো উৎস বলে এটি বৌল সিস্টেমের কাজ সঠিকভাবে হতে সাহায্য করে।
ওজন হ্রাস
কাঁচা মরিচ বাড়তি মেদ ঝরায়। বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি করে ওজন কমানোতে সাহায্য করে। মন ভালো রাখে ও মস্তিষ্কে এনডোরফিন হরমোন উদ্দীপক। ফলে মন ভালো রাখতে কাঁচা মরিচ দারুণ ভালো।
পাকস্থলীর ক্যানসার
আবশ্যক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তাই এটি পাকস্থলীর ক্যানসার ও পাকস্থলীর যে কোনো রোগ নিরাময় করে। এছাড়া লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় রাখতে মরিচ খেলে লালা উৎপন্ন হয়, যা খাবার ভালোভাবে চিবানোতে ও হজমে সাহায্য করে।