অনলাইন ডেস্ক: খালিদ বিন আহম্মেদ (৩০) এর বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ এলাকায়। ২০১৪ সালে স্থানীয় একটি কলেজে পড়াশুনা করতেন। ২০১৬ সালে তার ছোটভাই গোলাম মাওলা নাহিদের মাধ্যমে ইউটিউবে এসকে নামে একটি চ্যানেল খোলেন। এই চ্যানেলে তখন থেকে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করতে থাকেন তিনি দাবি করেন র্যাব।
ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এই খালিদকে গতকাল শুক্রবার (৫ অক্টোবর) দিনগত রাতে রাজধানীর উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে আটক করেছে র্যাব-১। সঙ্গে আটক করা হয়েছে তার আরেক সহযোগী মোঃ হিজবুল্লাহকে (২১)।
আজ শনিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, খালিদ ২০০৪ সালে রাজধানীর বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০০৬ সালে হাজীগঞ্জ দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ২০১৪ সালে হাজীগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ অব এডুকেশনে বিবিএতে ভর্তি হন। তার বাবা নূর আহম্মেদ জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার সহযোগী হিজবুল্লাহ ২০১৩ সালে হাজীগঞ্জ থেকে এসএসসি ও ২০১৫ সালে এইচএসসি পাস করে বর্তমানে তিনি মহাখালীর বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। খালিদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত দেড় বছর যাবত সরকার বিরোধী বিভিন্ন ভিডিও তিনিও এসকে টিভিতে আপলোড করে আসছিলেন।
তিনি আরো বলেন, এসকে টিভিতে মূলত খালিদই ভিডিও গুলোতে কণ্ঠ দিতেন। আর হিজবুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা জায়গা থেকে বিতর্কিত বিভিন্ন ছবি সংগ্রহ করে এডিট করে আপলোড করতেন। তারা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর ও ভিডিও সংগ্রহ করে তাদের ইচ্ছেমতো তথ্য সংযোজন করে ভিডিও আকারে প্রকাশ করে আসছিলেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বলেন, সম্প্রতি সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে নিয়ে এসকে টিভিতে বিতর্কিত ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। কোটা ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনেও এ দু’জন মনগড়া বক্তব্য দিয়ে ভিডিও প্রকাশ করেছে। অনেক সময় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ভিডিও ফুটেজটা আসল নিলেও তার মধ্যে ভয়েসটা থাকতো তাদের মনগড়া। এ ধরনের মিথ্যাকে প্রশ্রয় দিয়ে তারা উস্কানি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছেন।
এসকে টিভিতে ১৪ লাখের মতো বিপুল সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার ছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, চ্যানেলটিতে সবসময়ই রাষ্ট্রবিরোধী বিরূপ সমালোচনা, গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানহানিকর গুজব প্রচার করে দেশে-বিদেশে হেয় করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। অনলাইনে এসব কার্যক্রম প্রতিনিয়তই মনিটরিং করা হচ্ছে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম কেউ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে এই চ্যানেলের সঙ্গে দুইজনই জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছি। আরও কেউ জড়িত থাকলে বা রাজনৈতিক মদদে এসকে টিভি পরিচালিত হতো কি-না তা অনুসন্ধান করে দেখা হবে।
ইউটিউবে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণায় শিবির
পূর্ববর্তী পোস্ট