নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। পৃথিবীর সকলের মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা, সচেতনতার দিন। এটি ১৯৯২ সালে প্রথমবার পালন করা হয়েছিল। কিছু দেশে একে মানসিক রোগ সচেতনতা সপ্তাহের অংশ হিসাবে পালন করা হয় ।
দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০ টায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা এর আয়োজনে এক আলেচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়েছে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক ডা: মো: ফারুক আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডা: আ ফ ম রুহুল হক এমপি।
এ সময় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তেব্যে বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে জনগণের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা না দিয়ে ঝাড়ফুঁক বা তাবিজ-কবজের আশ্রয় নেন।’ তিনি বলেন, এ সমস্ত ভ্রান্ত ধারণা, কুসংস্কার পরিবর্তনের মাধ্যমে এ রোগের সঠিক চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সবার সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি সব ধরনের মানসিক রোগের বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মানসিক স্বাস্থ্যসেবাসহ সব ধরণের স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিছেন । মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অধিকার ও সুযোগের সমতা বিধানে বদ্ধপরিকর।’
উল্লেখ্য, এ বছরে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য’। বাংলাদেশে মানসিক রোগে আক্রান্ত প্রায় দুই কোটি মানুষের চিকিৎসার জন্য সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন হাসপাতালে মাত্র ৮১৩টি শয্যা রয়েছে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৃথক কোনো সেবাকেন্দ্র নেই। হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ওপর এ রোগের চিকিৎসা নির্ভরশীল। এছাড়া এ রোগেন চিকিৎসার জন্য দেশে মাত্র ১৯৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। এর ফলে মানসিক রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ঢাকায় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত
পূর্ববর্তী পোস্ট