স্বাস্থ্য কণিকা: কোলেস্টেরল হল শরীরের তেল জাতীয় একটি পদার্থ। কোলেস্টেরল শরীরের ধমনী প্রাচীর এবং হরমোন উৎপাদনে ভূমিকা রাখে।কিন্তু কোলেস্টেরল বেশি থাকা শরীরের জন্য খারাপ। এ কারণে শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না রাখলে উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কিছু কিছু খাবার খেতে পারেন। এগুলো কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখে।
১. দই আমোদের অনেকেরই পছন্দের খাবার। আবার অনেকে দই পছন্দ করেন না। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে দই যে খেতেই হবে। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
২. আমাদের অনেকেরই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়ার অভ্যাস নেই। তিন বেলা শুধু খাবারের সঙ্গে পানি খাওয়ার অভ্যাসও আছে অনেকেরই। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ গ্লাস বা তার চেয়ে বেশি পানি পান করলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমপক্ষে ৫০ ভাগ কমে।
৩. অনেকেই বিদেশি ফলে আসক্ত। জাম্বুরার মতো দেশি ফল অনেকেরই নাস্তার টেবিলে জায়গা পায়না। কিন্তু জাম্বুরার রয়েছে নানা গুন। জাম্বুরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে দারুণ কার্যকরী। এটি হৃদরোগের জন্যও উপকারী। এছাড়া এটি ওজন কমাতে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে।
৪. রান্নায় আমরা মসলা হিসেবে আদা ব্যবহার করে থাকি। আদা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে প্রতিদিন কমপক্ষে ১ গ্রাম পরিমাণ আদা খাওয়া উচিত।
৫. ইতিমধ্যেই গ্রিন টি তার নানা গুনের কারণে বেশ জনপ্রিয় উঠেছে। উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্লাভোনাল হৃদরোগ সম্পর্কিত জটিলতা কমায়।
৬. আপনার দৈনিক খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ফল এবং শাকসবজি রাখুন। যেসব খাবারে ফাইবার বা আঁশ থাকে সেগুলো কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৭. ধূমপান পরিহার করুন। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা রাখে। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়ামও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে ।