বিশেষ প্রতিবেদকঃ-ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন দলের জন্য সর্বদা নিবেদিত প্রাণ তারুনের প্রতিক সাবেক এই ছাত্রনেতা এবার এমপি হিসেবে দেখতে চাই দলমত নির্বিশেষে তালা- কলারোয়া ১ আসনের সাধারণ মানুষ। খোজ নিয়ে জানা গেছে, তালা- কলারোয়া অঞ্চলে আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতা কর্মিও সাধারণ মানুষের মধ্যে তার আকাশচুম্বি যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তাতে তাকে তালা- কলারোয়া ১ নিবাচর্নী আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে তার বিজয়ী হওয়া সুনিশ্চিত। যে কারণে তালা- কলারোয়া অঞ্চলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও সাধারণ মানুষ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা ১ তালা- কলারোয়া আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিতে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃর্ষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে দিয়েছেন সফল নেতৃত্ব। দল ও জনগণের অধিকার রক্ষার তিনি একজন নিবেদিত প্রাণ, কর্মী ও জনবান্ধব এবং পরীক্ষিত ও লড়াকু সৈনিক। প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও লোভ লালসার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি। তিনি তৃণমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম। এই সংগ্রাম রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সূচনার সংগ্রাম। তিনি তালা-কলারোয়া আওয়ামী লীগকে অর্থ নয় মেধার কাছে জিম্মি রাখতে চান, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগকে নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করতে চান। এ বিষয়ে প্রতিবেদকরে সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমি তালা কলারোয়ার প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন সহ দলের প্রতিটি রাজনৈতিক অবস্থানে সামনে থেকেছি এবং এখনো আছি। তিনি আরও বলেন দেখতে পাচ্ছি এখনও তৃণমুল নেতাকর্মীদের কথা বলার জায়গা নেই। তারা অনেক এমপি বা বড় নেতাদের কাছে পৌচ্ছাতে পারেন না। সুবিধাভোগীদের ভিড়ে তাদের দাবির কথা, সুখ-দুঃখের কথা বলার সুযোগ পান না। আমি এসব অবহেলিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকেছি এখনও আছি, দলের একজন পরীক্ষিত নেতা হিসাবে তালা-কলারোয়া উপজেলার যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা। স্বপনের মতে তৃণমুল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভরসাও তারাই। কিন্তু তাদের সংগঠিত করার মত নেতৃত্বের এতোদিন যে অভাব ছিল এখন তিনি সেটা দুর করেছেন।
জানা যায়, মুক্তিযদ্ধের চেতনাপুষ্ট পারিবারিক আবহে বেড়ে উঠেছেন ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার জামাতা হিসেবে স্বপন রাজনীতিতে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার একটি নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সব সময় সক্রিয় থেকেছেন,সেই জন্য তিনি কলারোয়া ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন ।কলারোয়া কলেজে ছাত্রদল ও শিবিরের বৈরী রাজনীতির মাঝেও স্বপন এখানে ছাত্রলীগকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যান। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি ছাত্রলীগকে সাফল্যের সঙ্গে সংগঠিত করেন এবং তৎকালিন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ও স্বপন, ছাত্র সমাজের মধ্যমণি হিসাবে ব্যাপক ভূমিকায় অবতীর্ণ হন । তার আপোষহীণ ভূমিকায়২০১৩ সালে জামাত,বিএনপির তান্ডবের সময় কলারোয়া উপজেলায় আ,লীগের মূখ্য ভূমিকা পালন করে, গতিশীল নেতৃত্বের কারণে কলারোয়া উপজেলায় দেয়া হয় আ,লীগের সভাপতির দায়িত্ব । ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন এখনও তার নেতৃত্বের গুণে গণমানুষের নেতা হিসাবে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের, সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন,।তিনি কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হন,”এবং বর্তমান উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ।যে কারনে তৃনমূল হতে শুরু করে সহযোগী সকল সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনো তাকেই তাদের প্রতিনিধি হিসাবে যে কোন সমস্যায় ছুটে আসেন তাঁর কাছেই। সমস্যার সমাধান পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, কিন্তু স্বপন তাদের কথা শুনেন। তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন এখনও আছেন। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে থেকে দীর্ঘসময় রাজনীতিতে দলীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছি এখনো দিয়ে যাচ্ছি । তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই দলের প্রাণ। এ প্রসঙ্গে কেরালকাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরদার বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান , ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন সব সময় দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন এখনো আছেন। তিনি বলেন, স্বপন একজন পরীক্ষিত নেতা। দলের যে কোন প্রয়োজনে তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন, এমন জন ও কর্মীবান্ধব নেতা এমপি হলে তা হবে দলের নেতাকর্মীদের জন্য বড় পাওয়া।
তালা-কলারোয়ায় পরিবর্তন আনতে আগামী সংসদ নির্বাচনে তৃনমূলের দাবি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন
পূর্ববর্তী পোস্ট