অনলাইন ডেস্ক: সর্বশেষ ৬টি দস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। সকালে বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে বনদস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেবেন। আয়োজনে বাগেরহাট প্রান্তে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও কয়েকজন মন্ত্রী-এমপিসহ র্যাবের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। আত্মসমর্পণ করা বনদস্যুদের প্রত্যেকের হাতে ১ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক দেওয়া হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার অনুষ্ঠানে সুন্দরবনের সর্বশেষ ৬টি ডাকাত বাহিনীর প্রধানসহ ৫৪ জন দস্যু ৫৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ হাজর ৩৫১ রাউন্ড গোলাবারুদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যয় ঘোষণা করবে। এই বনদস্যু বাহিনীগুলো হচ্ছে: সাত্তার বাহিনী, শরিফ বাহিনী, মুকুল-সিদ্দিক বাহিনী, আল-আমিন বাহিনী, আনারুল বাহিনী ও তৈয়ব বাহিনী। একই রকম আয়োজনে ইতোপূর্বে সুন্দরবনের ৯টি বনদস্যু বাহিনীর ৮৪ জন সদস্যে আত্মসমর্পণ করেছিল।
র্যাবের তৎপরতায় ২০১৫ সালের ৩১ মে প্রথম মোংলা বন্দরের ফুয়েল জেটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে ৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে ৯ সহযোগীসহ ‘মাস্টার বাহিনীর’ প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টার আত্মসমর্পণ করে।
এরপর পর্যায়ক্রমে মানজার বাহিনী প্রধান মানজার সরদার, মজিদ বাহিনী প্রধান তাকবির বাগচী মজিদ, বড় ভাই বাহিনী প্রধান আবদুল ওয়াহেদ মোল্লা, ভাই ভাই বাহিনী প্রধান মো. ফারুক মোড়ল, সুমন বাহিনী প্রধান জামাল শরিফ সুমন, দাদা ভাই বাহিনী প্রধান রাজন, হান্নান বাহিনী প্রধান হান্নান, আমির বাহিনী প্রধান আমির আলী, মুন্না বাহিনী প্রধান মুন্না, ছোট শামছু বাহিনী প্রধান শামছুর রহমান, মানজু বাহিনী প্রধান মো: মানজু সরদার ও সূর্য্য বাহিনী প্রধান সূর্য্যসহ ২৯টি বনদস্যু বাহিনীর ২৭৪ সদস্য ৪০৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৯ হাজার ১৫৩ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে।