শহর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলেজ ছাত্র গৌতম হত্যার বিচার দাবি করলেন তার শিক্ষক সহপাঠী ও এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার মাহমুদপুর সীমান্ত আদর্শ কলেজের সামনে সাতক্ষীরা ভোমরা সড়কে আয়োজিত অবরোধ ও মানববন্ধনে তারা আলটিমেটাম ঘোষণা করে বলেন ঘাতকদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার না করা পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন। ব্যানার ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে তারা স্লোগান দেন। এ সময় নিহত কলেজ ছাত্র গৌতমের বাবা ইউপি সদস্য গনেশ সরকার তার ছেলে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন। সদর উপজেলার ঘোনা, আলিপুর ও ভোমরা ইউনিয়নের সকল স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও মানববন্ধনে যোগ দেন। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে সাতক্ষীরা ভোমরা ব্যস্ত সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারা সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে বলেন অবিলম্বে ঘাতকদের গ্রেফতার না করা হলে সাতক্ষীরা অচল করে দেওয়া হবে। সীমান্ত আদর্শ কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ সম্মানের মেধাবী ছাত্র গৌতম সরকার হত্যার পর পুলিশ কোনো আসামিকে আটক করতে পারেনি বরং গ্রামবাসীরা আসামিদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে উল্লেখ করে মানববন্ধনে বলা হয় মহাদেবনগরের চাঁদাবাজ জামশেদকে আটক করে তিনদিন পর থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ওই রাতেই গৌতমকে টেলিফোনে ডেকে নিয়ে অপহরণ ও পরে হত্যা করা হয়। এঘটনার পর থেকে জামশেদ পলাতক অবস্থায় ফোন করে এলাকার খোঁজ খবর নিচ্ছে। তা সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। আসামিরা এখনও কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুর রহমান, সীমান্ত কলেজ অধ্যক্ষ মো. আজিজুর রহমান, প্রধান শিক্ষক আবদুর রকিব, প্রভাষক মো. মনিরুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক মো. আবুবকর সিদ্দিক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আবদুল কাদের, যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ। গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে কলেজ ছাত্র গৌতমকে টেলিফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এসময় তার ফোন থেকে তারা বাবা গনেশ সরকারের কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর ভোরে গৌতমের লাশ তার বাড়ির কাছে একটি পুকরে বস্তায় পুরে ইট দিয়ে ডুবিয়ে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট