দেশের খবর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মূল নির্বাচনী ব্যয়ে বরাদ্দের ৭০০ কোটি টাকার অর্ধেকেরও বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে খরচ করা হবে। আগের সব নির্বাচনের চেয়ে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বেশি বরাদ্দ দেয়ার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) । মূল নির্বাচনী বাজেট ৭০০ কোটি টাকার মধ্যে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ৪০০ কোটি টাকার বেশি দিচ্ছে ইসি।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বাজেট বরাদ্দের বিষয়ে বৈঠকে করে কমিশন। মূল নির্বাচনী বাজেট ৭০০ কোটি টাকা হলেও এখন পর্যন্ত তিন বাহিনীই চেয়েছে ৫১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইসির কাছে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ ও র্যাব ২২৪ কোটি, বিজিবি ৫৮ কোটি ও আনসার ২৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। তবে সশস্ত্র বাহিনী ও কোস্টগার্ড এখন পর্যন্ত ইসির কাছে কোনও বরাদ্দ চায়নি।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এবারের বাজেটের ৭০০ কোটি টাকার মধ্যে ৪০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বাজেট সংক্রান্ত আলোচনা করেছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাজেট দাখিল করতে। আমরা আনসার বাহিনীকে অগ্রিম শতভাগ টাকা বরাদ্দ দেব। অন্যান্য বাহিনীগুলোকে আমরা অগ্রিম ৫০ ভাগ বরাদ্দ দেব। এ বছর আমরা নতুন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছি। সেটি হলো এ বছর থেকে গ্রাম পুলিশকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করবো।’
ইসির কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনে কোনও বাহিনী কতদিন ও তাদের কতজন সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন, তা নির্ধারণ হবে ১৩ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইসির সভায়। তার আগে গত নির্বাচনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজেট তৈরির জন্য বলেছে ইসি।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ক ৩৬তম কমিশন সভায় নির্বাচনে বাজেট বিষয়ে আলোচনা হয়। সভা শেষে হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, জাতীয় নির্বাচনের জন্য ৭০০ কোটি টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য যেসব বাজেট খাতওয়ারি বিভাজন করে উপস্থাপন করেছি, কমিশন তা অনুমোদন করেছেন।
নির্বাচনের বাজেট শাখা সূত্রে জানা যায়, পঞ্চম জাতীয় সংসদে আইনশৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দ ছিল ১৭ কোটি টাকা, ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে ২৯ কোটি, সপ্তম সংসদে ১৮ কোটি, অষ্টম সংসদে ৪২ কোটি, নবম জাতীয় সংসদে ৯৮ কোটি ও দশম সংসদে ১৮৩ কোটি টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই শুরু হবে ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ ডিসেম্বর।