খেলার খবর: মাঠে গড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এই টেস্টের একাদশে বাংলাদেশ এনেছে দুটি পরিবর্তন। ওপেনার হিসেবে অভিষেক হয়েছে সাদমান ইসলামের।
এছাড়া উইকেটরক্ষক হিসেবে দলে ফিরেছেন লিটন দাস। তবে সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো এই টেস্টে বাংলাদেশ দলে নেই কোনো পেসার।
টেস্ট আঙিনায় দেড় যুগের পথচলায় বাংলাদেশের এটি ১১২তম টেস্ট। কিন্তু বিশেষজ্ঞ পেসার ছাড়া একাদশ এই প্রথমবার।
এর আগে এক পেসার নিয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের। প্রথম টেস্টেও একমাত্র পেসার হিসেবে খেলেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটিং শক্তি বাড়াতে পেসার ছাড়াই মাঠে নেমেছে স্বাগতিকরা।
গত জুলাইয়ে উইন্ডিজ সফরের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতোই। প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ। পরের টেস্ট মিলিয়ে বাকি তিন ইনিংসে একবারও দলীয় সংগ্রহ দুইশ’র কোটা ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। ওই দুই টেস্টে বাংলাদেশের মোট ৪০ উইকেটের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার পেসার মিলে ভাগ করেছিলেন ৩৮ উইকেট।
ঘরের পেসবান্ধব উইকেট দেখে চার পেসার খেলিয়ে ফায়দা লুটেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর জবাবেই কি না, এবার ঘরের মাঠে স্পিনবান্ধব উইকেটে চার স্পিনার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে উইন্ডিজকে হারিয়েছে স্পিন জাদুতেই। তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের পাশাপাশি বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
চট্টগ্রামের মতো মিরপুরেও স্পিন-চতুষ্টয়েই মূল ভরসা বাংলাদেশের। এই টেস্টে মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকারকে দিয়েই সারা হবে নতুন বলে আক্রমণের কাজ।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে আগে ব্যাট করে ৬৪ রানে জয় তুলে সিরিজে লিড নেয় সাকিব আল হাসানের দল। সিরিজ জয়ের মিশনে মিরপুর টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ।
এদিন বাংলাদেশের ৯৪তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ঘটেছে বাঁহাতি ওপেনার সাদমানের।
চলতি বছর এই নিয়ে আট টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। অভিষেকও হয়েছে আট ক্রিকেটারের। শুরুটা সানজামুল ইসলামকে দিয়ে। এরপর একে একে টেস্ট ক্যাপ পেয়েছেন আবু জায়েদ রাহী, আরিফুল হক, নাজমুল ইসলাম অপু, মোহাম্মদ মিথুন, খালেদ আহমেদ, নাঈম ইসলাম, এবার সাদমান।