বিদেশের খবর: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশ ৯৪ বছর বয়সে শুক্রবার মারা গেছেন। তার পরিবারের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ১৯৮৯ সালে রাশিয়ার সঙ্গে ঠাণ্ডা যুদ্ধের অবসানে তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের একক পরাশক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর দুই বছর ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের বাহিনীকে পরাজিত করতে এক নজিরবিহীন জোট গড়তে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট বুশ তার যে কোনো পূর্বসূরির চেয়ে বেশি সময় বেঁচে ছিলেন। তার স্ত্রী বারবারা বুশের মৃত্যুর সাত মাস পর শুক্রবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।
তারা ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ টুইটারে বলেন, জেব, নেইল, মারভিন ও আমি খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ৯৪টি উল্লেখযোগ্য বছর পার করে তিনি মারা গেছেন। আমাদের প্রিয় বাবা আর নেই।
তিনি বলেন, জর্জ এই. ডব্লিউ. বুশ উন্নত চরিত্রের একজন মানুষ ছিলেন। ছেলে ও মেয়েদের জন্য তিনি ছিলেন একজন ভালো বাবা।
জর্জ হারবাট ওয়াকার বুশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন নৌবাহিনীর বিমান চালক ছিলেন। প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের আমলে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
পরবর্তীতে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে দ্বিতীয়বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে মার্কিন দুর্বল অর্থনীতির কারণে বিল ক্লিনটনের কাছে তিনি হেরে যান।
বৈশ্বিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক কঠিন এবং অনিশ্চিত সময়ে ৪১তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তার আমলে বার্লিন দেয়াল ভেঙে ফেলা হয় ও পূর্ব ইউরোপে সোভিয়েত সমর্থিত সমাজতন্ত্রের পতন ঘটে।
তিনি পাঁচ সান্তান, ১৭ নাতি-নাতনি ও তাদের সন্তানদের রেখে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি সফল পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তার এক সন্তান জর্জ বুশ দুইবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
আরেক ছেলে জেব বুশ ২০১৬ সালের রিপাবলিকাদের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান।