বিদেশের খবর: অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করতে গিয়ে গলায় দড়ি লাগিয়েছিলেন গর্ভবতী নারী। ঝুলন্ত মায়ের গর্ভ থেকেই বেরিয়ে এলো নবজাতক। ঝুলতে থাকে নাড়ির সঙ্গে। এ অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ভারতের মধ্যপ্রদেশের কাটনি গ্রামের এ ঘটনাটি বেশ সাড়া ফেলেছে ভারতজুড়ে। খবর এনডিটিভির।
জানা গেছে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে জীবন শেষ করে দিতে যাওয়ার মুহূর্তে তাঁর প্রসব হয়। গর্ভ থেকে বেরিয়ে দুই পায়ের ফাঁকে ঝুলতে থাকে এই নবজাতক। মা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগেই বাচ্চাটি পৃথিবীর আলো দেখে। মায়ের মৃত্যুর পর অনেকক্ষণ নাড়ির সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে শিশুটি।
এই ঘটনার বেশ পরে পুলিশ আসে এবং চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। ডাক্তার ঝুলন্ত অবস্থাতেই নাড়ি কেটে শিশুটিকে নিয়ে জেলা হাসপাতালে পৌছে যান। এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছে নবজাতক।
স্থানীয়রা জানায়, অভাবের তাড়নায় চার সন্তানের ভরণপোষণ যোগাতে পারছিলেন না ওই নারী। এ অবস্থায় পঞ্চম সন্তান প্রসবের দিন ঘনিয়ে আনায় আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহুর্তেও পঞ্চম সন্তান জন্ম নিয়েছে চরম হতদরিদ্র এই পরিবারে।
পুলিশ জানায়, আত্মহত্যার সময় ৯ মাসের গর্ভবতী ছিলেন লক্ষ্মী। তাঁর স্বামী সন্তোষ মূর্তি শ্রমিক। পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর কবিতা সাহিণী বলেন, ‘যখন আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই তখন লক্ষ্মী মারা গেছেন। তখনই আমার হঠাৎ চোখ পড়ে যে, তাঁর পায়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে একটি নবজাতক শিশু। শিশুটি মৃত মহিলার গর্ভনালীর সঙ্গে যুক্ত ছিল।’