দেশের খবর: নিবন্ধন হারানো ধর্মভিত্তিক দল জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়েছে। আজ বুধবার এ সংক্রান্ত আবেদনটি আদালতে পেশ করেন রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিষ্টার তানিয়া আমীর।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চে এ আবেদনের উপর শুনানি হবে।
গত ১৭ ডিসেম্বর জামায়াতের প্রার্থীদের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ চেয়ে তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ চারজন হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে গত ১৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে ওই ব্যক্তিদের করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রুলের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার ইসি সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, ‘স্বাভাবিকভাবে জামায়াত ইসলামী নামে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত কোনও দল নেই। তারা যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, তা পর্যালোচনা করে দেখেছে যে এই প্রক্রিয়ায় তাদের প্রার্থিতা বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। জামায়াতের ওই প্রার্থীরা ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে জামায়াতের প্রার্থীদের ভোটে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে এই সম্পূরক আবেদন করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ওই চার ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে রয়েছেন ২২ জন। আর স্বতন্ত্রভাবে আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।