অনলাইন ডেস্ক: মার্কিন বিমান বাহিনীর ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ (জিপিএস) ৩ স্যাটেলাইট সফলভাবে মহাকাশে পাঠিয়েছে স্পেসএক্স। ২০১৮ সালের এটিই ছিল মহাকাশযান নির্মাতা সংস্থার একেবারে শেষ মিশন। নতুন এই স্যাটেলাইটটির নাম বলা হয়েছে ‘ভেসপুচি’। স্পেসএক্স-এর জন্য এটিই মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর প্রথম মিশন।
১৫০২ সালে আমেরিগো ভেসপুচি নামে একজন ইতালিয়ান অভিযাত্রী প্রথম দাবি করেন ক্রিস্টোফার কলম্বাসের আবিষ্কৃত ভূখণ্ড এশিয়ার সঙ্গে মেলে না। গুরুত্বপূর্ণ এই আবিষ্কারের জন্যই ভেসপুচির নামের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন ওই ভূখণ্ডের নাম দেওয়া হয় আমেরিকা। আমেরিকার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কিছু না জানানো হলেও, ওই অভিযাত্রীর নামেই নতুন উৎক্ষেপিত স্যাটেলাইটটির নামকরণ করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের কথা ছিল স্পেসএক্স-এর। কিন্তু প্রবল বায়ু প্রবাহের কারণে তা বিলম্বিত হয়।
২০১৬ সালে মার্কিন বিমান বাহিনীর সঙ্গে ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্পেস (এনএসএস) চুক্তি পায় স্পেসএক্স। এই চুক্তির আওতায় ফ্যালকন ৯ রকেটে করে আরও চারটি জিপিএস ৩ স্যাটেলাইট পাঠানোর কথা রয়েছে সংস্থার। নতুন এই জিপিএস স্যাটেলাইট বানিয়েছে লকহিড মার্টিন। স্পেসএক্স-এর দাবি বর্তমান জিপিএস ব্যবস্থার চেয়ে তিন গুণ বেশি নিখুঁত হবে নতুন জিপিএস। আর অ্যান্টি-জ্যামিংয়ে আট গুণ বেশি কার্যকরিতা দেবে এটি।
স্পেসএক্স-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “নতুন প্রজন্মের জিপিএস স্যাটেলাইট নকশা করা হয়েছে অবস্থান, ন্যাভিগেশন এবং সময়ের তথ্য দেওয়ার জন্য। চারশ’ কোটির বেশি গ্রাহক জিপিএস ব্যবহার করেন এবং বিশ্বজুড়ে জটিল মিশনগুলোতে জিপিএস ব্যবহার করা হয়।” ২০১৮ সালে সফলভাবে মোট ২১ বার রকেট উৎক্ষেপণ করেছে স্পেসএক্স। আগের বছর মোট ১৮ বার রকেট উড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।