দেশের খবর: সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান।
অন্যদিকে নির্বাচন বাতিলে সুপ্রিম কোর্টকে ব্যবহার করার জন্য আইনজীবী সমিতির এই দাবিকে বেআইনি ও অসাংবিধানিক বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিএনপি অতীতে সেনাবাহিনীকে বিভিন্নভাবে আমন্ত্রণ করে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি ধ্বংসের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এখন নির্বাচন বাতিলে সুপ্রিম কোর্টকে ব্যবহার করার জন্য তাদের দাবি বেআইনি ও অসাংবিধানিক।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক এই সম্পাদক ও নবনির্বাচিত এমপি রেজাউল করিম বলেন, সংসদ নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তিনি আইনানুগভাবে ট্রাইব্যুনালের আশ্রয় নিতে পারেন। কিন্তু সেখানে না গিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে বিতর্কিত করার জন্য তাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কাজ এটা নয়।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে জয়নুল আবেদীন বলেন, ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছে, তা দেশ ও জাতি গ্রহণ করেনি। এই নির্বাচনকে কোনো নির্বাচন বলা যায় না। সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি এ নির্বাচন বাতিল করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি হয়েছে। এ নির্বাচনে গণতন্ত্র ও সংবিধান পরাজিত এবং স্বৈরতন্ত্র জয়ী হয়েছে। আমরা আগেই বলেছিলাম, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। তাহলে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। তবুও ঐক্যফ্রন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের কথায় নির্বাচনে এসেছি। নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি নিজেও প্রার্থী ছিলাম। তাই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, এটি ছিল নির্বাচনের নামে প্রতারণা। এ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও সরকার দেশের জনগণের সঙ্গে সংবিধান ও মানচিত্রের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।