অনলাইন ডেস্ক: শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এরই মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। উত্তরের শেষপ্রান্তের জনপদ পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৫-এ। জেলার তেঁতুলিয়ায় বুধবার (০২ জানুয়ারি) চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন ৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, চলতি মাসে দেশজুড়ে দুটি মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। এতে শীতের তীব্রতা বাড়বে।
আবহাওয়া অধিদফতরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে গঠিতবিশেষজ্ঞ কমিটি এই পূর্বাভাস দিয়েছে। অধিদফতরের পরিচালক চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় জানানো হয়েছে, শৈত্যপ্রবাহের চলাকালে তাপমাত্রা আরো কমে গিয়ে ৪ ডিগ্রির নিচে নেমে যেতে পারে।পাশাপাশি ঘন কুয়াশাও ঢাকা পড়তে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। পুরো জানুয়ারি জুড়েই থাকবে শীতের তীব্রতা।
বর্তমানে রংপুর বিভাগে প্রায় সর্বত্রই মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।এছাড়া রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ এবং শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। হিমালয় সংলগ্ন হওয়ায় সাধারণত উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। তবে পরিস্থিতি বেশি খারাপ পঞ্চগড়ের। গত বছর ৮ জানুয়ারি তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল, যা ৫০ বছরের মধ্যে ছিল দেশের সবচেয়ে কম।
এদিকে শীতের সঙ্গে বেড়েছে শীতল বায়ুপ্রবাহ ও কুয়াশার প্রকোপ। ফলে শীত আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। ভোরে কুয়াশা আর দিনভর ঠাণ্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ। রাতে তা আরও অসহনীয় হয়ে উঠছে। শীতের কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাইয়ের প্রকোপ ঘটে থাকে।
বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। এরই মধ্যে শীতজনিত নানা রোগে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা জনসাধারণকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে ‘মাঝারি’ মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যদি ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে, তবে তা ‘তীব্র’ শৈত্যপ্রবাহ।
আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে ‘মৃদু’ শৈত্যপ্রবাহ। এ হিসাবে দেশের বেশির ভাগ স্থানে এখন শৈত্যপ্রবাহ বইছে। বিএমডির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপমহাদেশেীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।