অপ্রতিম: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রায় যে কোন সময় কার্যকর হতে পারে। ইতোমধ্যে কাসিমপুর কারাগার এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির জল্লাদও প্রস্তুত রয়েছে। এর আগে শুক্রবার বিকালে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে জানিয়েছেন মীর কাসেম আলী। পরে বিষয়টি আইজি প্রিজন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। যেহেতু তিনি প্রাণভিক্ষা চাননি তাই তার ফাঁসি কার্যকরে এখন আর কোন বাঁধা নেই। এখন কারা কতৃপক্ষ সুবিধাজনক সময়ে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করবে। গতকাল সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের তুলনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে কাসিমপুর কারাগারের সামনে। সাদা পোষাকেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তার রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। সেদিনই ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি কারা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে রায় কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ১০ টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে ট্রাইব্যুনালে। মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে দুটি অভিযোগে।