ভিন্ন স্বাদের খবর: উত্তর কোরিয়ার একটি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইন্টারনেটে রীতিমতো তারকা বনে গেছেন তার ব্যতিক্রমী কাজের জন্য। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়েও প্রতিদিন সকালের ব্যায়াম ক্লাসে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নেচে আলাদা এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সানঝি প্রদেশের ঝি গুয়ান প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঝাঙ্গ পেনফি প্রতিদিন সকালে স্কুলের ৭০০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে নাচের ক্লাস করেন। এই নাচের প্রতিটি মুদ্রার মাধ্যমে হাঁটু, পায়ের আঙ্গুল এবং হাতের নড়াচড়া করাতে হয়।
৪০ বছর বয়সী ঝাঙ্গ পেনফি জানান, নামটা নাচের ক্লাস হলেও এটা আসলে ব্যায়ামেরই ক্লাস। তার মতে, এ ধরনের মজার ও শক্তিদায়ক ব্যায়াম শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন আসক্তি থেকে দূরে রাখবে।
জানা গেছে, ক্লাস শুরুর আগে ৩০ মিনিটের যে প্রচলিত ব্যায়াম ক্লাস চালু ছিল তারই পরিবর্তে এই ব্যতিক্রমী নাচের ক্লাস চালু করেছেন প্রধান শিক্ষক।
ঝাঙ্গ গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ স্কুলের যে প্রচলিত ব্যায়াম ক্লাস চালু আছে শিক্ষার্থীরা সেটার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিল। এ কারণে একটা পরিবর্তনের কথা ভাবছিলাম । ভাবতেই ভাবতেই কিছুদিন আগে একটি খোলা জায়গায় একদল মানুষকে নাচতে দেখি। নাচটা দেখে এতটাই ভাল লাগে যে তাৎক্ষণিক সেটা শেখার সিদ্ধান্ত নিই ‘।
ঝাঙ্গ জানান, এই নাচের সঙ্গে যেই মিউজিক আছে সেটা শক্তিতে ভরা। মিউজিকটি শুনে মনে হয়েছিল, এর সঙ্গে নাচলে শিশুদের জন্য সেটা দারুণ হবে। তার ভাষায়, ‘এই নাচের পর নিজের ভিতরে সত্যিই এক ধরনের সুখের অনুভূতি ছড়িয়ে যায়।’
গত বছরের অক্টোবর থেকে স্কুলটিতে আধা ঘণ্টার এই নাচ তথা ব্যায়ামের ক্লাস চালু হয়েছে। এখন স্কুলের অন্য শিক্ষক ও কর্মচারীরাও নাচের ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন।
প্রধান শিক্ষক ঝাঙ্গ বলেন, ‘এখন আমাদের শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন নিয়ে পড়ে থাকে না। বরং কখনও কখনও মোবাইলে নতুন নাচের মুদ্রা শেখে।’
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের এই নাচের ভিডিও গত ৯ জানুযারি প্রথম ইন্টারনেটে দেখা যায়। এরপর চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়। অনেকেই প্রধান শিক্ষককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এমন উদ্যোগের জন্য। এরই মধ্যে ভিডিওটি ২৫ কোটি বার দেখা হয়েছে। সূত্র: ডেইলি মেইল