বিদেশের খবর: বাংলাদেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর মার্কিন প্রশাসনের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি পলাতক রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদুত রবার্ট আর্ল মিলারের সৌজন্য সাক্ষাতে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর আবদুল মোমেনের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনায় গণতন্ত্র সুরক্ষা, বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নিতে চায় সরকার। তবে সবার আগে যত দ্রুত সম্ভব বঙ্গবন্ধুর খুনি পলাতক রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি তাঁকে বলেছি। আমাদের আদালতের রায় হয়েছে, ফেয়ার অ্যান্ড জুডিশিয়াস প্রসেসে। এরা আত্মস্বীকৃত খুনি। এদের আমাদের দেশে পাঠিয়ে দেও।
নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতের পর রাষ্ট্রদূত মিলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো কীভাবে শক্তিশালী করা যায় সে নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব, সমরাস্ত্র বিক্রি ও ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি এবং দুই দেশের জনগণের বন্ধন আরো কিভাবে সুদৃঢ় করা যায় সেসব বিষয়ও আলোচনায় এসেছে।
রবার্ট মিলার বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করলে তিনি আনন্দিত হবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন স্তরে ড. মোমেনের শক্তিশালী এবং স্থায়ী বন্ধনের বিষয়টি উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
মিলাল বলেন, তারা গণতন্ত্র ও সুশাসন নিয়ে কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বসহ সর্বক্ষেত্রে কীভাবে দৃঢ় অংশীদারত্ব গড়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত জানান, নির্বাচনের দিন সিলেটে ড. মোমেনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল। পাশাপাশি তাঁর আশা, আগামী দিনগুলোতে তাদের মাঝে আরো অনেক আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ হবে।
এ ছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।