ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার একটি পিকনিকের বাস যশোরের কেশবপুরের ভালুকঘর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাছের ঘেরে পড়ে ৩ শিশু নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সকালে উপজেলার সরসকাটি-মঙ্গলকোট সড়কের শ্রীরামপুর সাহাপাড়া মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাতক্ষীরার আগরদাঁড়ি ও বাউখোলা গ্রামের কয়েকটি পারিবারি বাসযোগে বাগেরহাটে পিকনিকে যাচ্ছিলেন। পথে সকাল ৮টার দিকে শ্রীরামপুর সাহাপাড়া মোড়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাছের ঘেরের পানিতে পড়ে যাত্রীসহ তলিয়ে যায়।
এ সময় স্থানীয়রা বাসের জানালার কাঁচ ভেঙে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে মনিরামপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে গুরুতর আহত ১৫ জনকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে আগরদাঁড়ি গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে সাব্বির হোসেন (৫) কেশবপুর হাসপাতালে মারা যান। এ ছাড়া রুহি (১৪ মাস) ও আনিকা (১৬ মাস) নামের দুই শিশুকে কেশবপুর হাসপাতাল থেকে খুলনায় নেওয়ার পথে তারা মারা গেছে।
ফায়ার
সার্ভিসের টিমলিডার শেখ আজিম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটটনার পর বাসের চালক ও
হেলপার পালিয়ে গেলে গেছে। এ ঘটনায় বাসের বস যাত্রীই কমবেশী আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে গুরুতর আহত শহর বানু (৪০), ঝুমুর বেগম (১৮), মারিয়া খাতুন
(১৭), শিরিনা খাতুন (১৮), সাজেদা সাজু (১৬), রাজিয়া বেগম (৫০), ফারহানা
খাতুন (১৬), সোয়াদা খাতুন (১৫), জুলেখা খাতুন (১৫), সামিউল ইসলাম (১০) ও
সোহাগ হোসেন (২৬) কেশবপুর হাসপাতালে এবং মোস্তাকিম (১১) খুলনা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উপজেলা
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, গুরুতর আহত ১১ জনকে চিকিৎসা
দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা উন্নতির দিকে। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩
জনকে সকালেই খুমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
কেশবপুর থানার ওসি মো. শাহীন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। বাসটি ঘেরের পানি থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।