ঘন ঘন ও বেশি হাঁচি, নাক দিয়ে পানি ঝড়া বা নাক বন্ধ থাকা, নাক, চোখ ও গলায় চুলকানি অ্যালার্জির লক্ষণ। এই অ্যালারজেন নাক, গলা ও ফুসফুসে আক্রমণ করে। এজন্য গলা ব্যথা বা গলা বসে যাওয়া এবং দম বন্ধভাব হয়। যারা বংশানুক্রমে অ্যাটপি বা অ্যালার্জি বহন করে তাদের এ সমস্যা কখনও কখনও মারাত্মক আকার ধারণ করে।
অ্যালার্জির বড় কণাগুলো নাকে ও ছোট কণাগুলো ফুসফুসে সমস্যা সৃষ্টি করে। যাদের নাকে অ্যালার্জি হয় তাদের মধ্যে শতকরা ১৭-১৯ জনের হাঁপানি হয়ে থাকে। যাদের হাঁপানি আছে তাদের মধ্যে শতকরা ৫৬-৭৪ জনের নাকে অ্যালার্জি থাকে।
বায়ুমণ্ডলের দূষণ, ধুলাবালি, সিগারেটের ধোঁয়া থেকে অ্যালার্জি ছাড়াও নাকে ইরিটেশন বা উত্তেজনা হতে পারে। কিছু অ্যালার্জি সারা বছর থাকে যেমন যাদের বাড়িতে ডাস্ট মাইট থাকে। কোনো কোনো অ্যালার্জি বছরের নির্দিষ্ট সময়ে হয়।
আসুন জেনে নেই নাকে অ্যালার্জি হলে কী করবেন?
১. ধুলাবালি, ধোঁয়া, ঠাণ্ডা নাকে অ্যালার্জি সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই ধুলাবালি ও ধোঁয়া এড়িয়ে চলুন।
২. বাড়িতে কার্পেট, পুরনো বই, কাপড় বা ফোমের সোফা সরিয়ে ফেলতে হবে।
৩. তোশককে রেক্সিন বা ম্যাট্রেস দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে।
৪. ফুলের রেণু থেকে দূরে থাকবেন।
৫. চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিহিস্টামিন ওষুধ বা স্টেরয়েড স্প্রে ব্যবহার করা যায়।
এরপরও সমস্যা না কমলে তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।