খেলার খবর: আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। এটি শেষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে আয়ারল্যান্ডে যাবেন টাইগাররা। ওই সিরিজের সব ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমানকে খেলাতে নারাজ কোর্টনি ওয়ালশ।
কারণটাও স্পষ্ট, গোড়ালির চোটে ভুগছেন কাটার-মাস্টার। তাকে নিয়ে কোনো প্রকার ঝুঁকি নিতে চান না দলের পেস বোলিং কোচ।
সাধারণত, পেস বোলারদের চোট প্রবণতা বেশি থাকে। মোস্তাফিজের যেন একটু বেশিই। কয়েক বছরের ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকবার ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন তিনি। এবার তাই তাকে নিয়ে বেশি সতর্ক ওয়ালশ।
মোস্তাফিজ ফিট থাকলে বিশ্বকাপে দলের জন্য বড় অবদান রাখতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি। সুতরাং আয়ারল্যান্ড সিরিজে যেন তার ওপর বাড়তি চাপ দেয়া না হয় সেজন্য টিম ম্যানেজমেন্টকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। চোট সারিয়ে উঠতে ফিজকে পর্যাপ্ত সময় দেয়ার পক্ষে কোচ।
এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। চোটাঘাত তার সেই রোমাঞ্চে কিছুটা হলেও বাঁধ সেধেছে। সোমবার মিরপুরে দলের অনুশীলন ক্যাম্প শুরুর দিনে শিষ্যকে নিয়ে ওয়ালশ বলেন, মোস্তাফিজ বিশ্বকাপে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য তাকে আগে ফিট থাকতে হবে। অবশ্য আমি মনে করি না, আমরা একজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল। সাকিব, ম্যাশ (মাশরাফি) ও রুবেল ধারাবাহিক। ইনজুরির পর থেকে ফিজ (মোস্তাফিজ) পুরোপুরি ধারালো রূপে ফেরেনি। তার কিছুটা চোট সমস্যা আছে।
লাল-সবুজ জার্সিতে মোস্তাফিজের অভিষেক হয় ২০১৫ বিশ্বকাপের পর। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সাফল্য-যাত্রায় বড় রোল প্লে করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতেই পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা বধে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঁহাতি পেসার। সেই তিনি বিশ্বকাপেও অধিনায়ক মাশরাফির বড় অস্ত্র হবেন, বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাবেন-এমনই প্রত্যাশা ওয়ালশের।
তিনি বলেন, মোস্তাফিজ ম্যাচ জেতাতে পারে। তাই তাকে যতটা সম্ভব ফিট রাখতে হবে। তার ওপর বেশি চাপ দেয়া যাবে না। আয়ারল্যান্ডে ওকে বেশি ব্যবহার করা যাবে না। তা হলেই হয়তো বিশ্বমঞ্চে ফিজকে আমরা সতেজ পাব।