নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে স্প্রিট বোর্ড ভাংচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ৩৫ চোরাকারবারীকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিজিবি’র হাবিলদার সেলিম হোসেন বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার গাড়াখালি সীমান্তের সোনাই নদীর পাড়ে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ৪ জন বিজিবি সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি ২০ কেজি সুপারি উদ্ধার করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি গ্রামের আব্দুল হাকিম, মিয়া, কাজিরুল ইসলাম, ইমান আলি, বোম্বে আলিম, জহুরুল ইসলাম, গাড়াখালি গ্রামের এনামুল মাস্টার, একই গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম, লাল্টু মিয়া, অহিদুল ইসলাম, দিপংকর ঘোস, আনন্দ কুমার, শফিকুল ইসলাম, ফতেমা খাতুন, বদরুল আলম, আলতামুন ও আলিমুল, দক্ষিন ভাদিয়ালি গ্রামের আব্দুল আলিম, জাহিদ হোসেন, মনিরা খাতুন, সাইকুল ইসলাম, শরাফত আলি, হেলাল গাজি, বাবু দালাল, ইকবল হোসেন, মনিরুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন ও রাঙ্গা মনির, কাকডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম, খোরশেদ আলি ও ইকবল হোসেন, বাগাডাংগা গ্রামের মিজানুর রহমান, মহিন ইসলাম, আব্দুর রহমান ও জহুরুল ইসলাম। অভিযোগ উঠেছে সীমান্তের বড় ধরনের চোরাকারবারিরা হামলায় অংশ নেয়।
বিজিবি কাকাডাঙ্গা বিওপির সুবেদার হায়দার আলি জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে বিজিবি সদস্যরা কলারোয়া উপজেলার গাড়াখালি সীমান্তের সোনাই নদীর পাড়ে টহল দিচ্ছিল। এ সময় ৪০/৫০ জন চোরাকারবারি বিপুল পরিমান সুপারি ভারতে পাচারের জন্য নিয়ে আসলে বিজিবি সদস্যরা সেগুলো আটকের চেষ্টা করে। এ সময় চোরাকারবারিরা বিজিবি সদস্যদের উপর হামলা চালায়। তারা এ সময় বিজিবির স্প্রিড বোর্ড ভাংচুর করে। এ সময় সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ২০০ কেজি সুপারী।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক শেখ জানান, এ ঘটনায় বিজিবি’র হাবিলদার সেলিম হোসেন বাদি হয়ে ৩৫ জনকে আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরো জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে বিজিবি সদস্যদের উপর হামলা, স্প্রিড বোর্ড ভাংচুর করে ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন ও সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাতক্ষীরা ৩৮বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আরমান হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিজিবি’র উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের তালিকা তৈরি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ মামলার আসামিসহ সীমান্তের চোরাকারবারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। সীমান্তের চোরাচালান বন্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট