দেশের খবর: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তা জানাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে বলুন, ব্যবস্থা নেব।’
ব্রুনাইয়ে সদ্যসমাপ্ত রাষ্ট্রীয় সফর সম্পর্কে জানাতে শুক্রবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফাঁকা কথা বললে আর অপবাদ দিলে তো মেনে নেব না। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে জানান, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শ্রীলংকায় আত্মঘাতী বোমা হামলার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ‘এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
গণমাধ্যম সবক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে না– এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিবিসিতে খবর এসেছে– এদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায় নাকি ভালো নেই।’
বিষয়টি এদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকদের কাছেই জানার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদেরকেই জিজ্ঞেস করেন? তারাই বলুক– তারা ভালো আছে নাকি নেই। বিবিসির প্রতিনিধি তো এদেশেও আছে। তারা কি দেখে না?’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর পাবনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর হামলা কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘সে সময় আমি সেখানে ছুটে গিয়েছিলাম। আমার দলের লোকজনসহ খ্রিষ্টানদের প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি সে সময় ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সেই খবর প্রধান প্রধান অনেক গণমাধ্যমে আসেওনি। এই হল অবস্থা।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সব ধর্মের মানুষ ভালো থাকে– একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষ যাতে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে সেই পরিবেশটা এখানে আমরা তৈরি করতে পেরেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ব্রুনাই সফর সম্পর্কে জানান। তিনি জানান, ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়ার আমন্ত্রণে তার তিনদিনের এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই এবং কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ দিতে কূটনৈতিক নোট বিনিময় হয়।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ব্রুনাই সফরকালে তিনি বলকিয়ার সরকারি বাসভবন ইস্তানা নূরুল ইমানের চেরাদি লায়লা কেনচানায় রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি দুই দেশের ব্যবসায়ীদের ফোরামে বক্তব্য দেন এবং ব্রুনাইয়ের জামে আসর মসজিদ পরিদর্শন ও সুলতানের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন। দেশে ফেরার দিন মঙ্গলবার সকালে তিনি ব্রুনাইয়ের রাজধানী দারুস সালামের কূটনৈতিক এলাকা জালান কেবাংসানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিস্থাপন এবং রয়েল রেজালিয়া জাদুঘর পরিদর্শন করেন।