রাজনীতির খবর: একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র নির্বাচিত ৬ সংসদ সদস্যের মধ্যে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচত দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নেননি।
একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘শপথ নিতে সময় চেয়ে স্পিকারের কাছে চিঠি’ পাঠানোর বিষয়টি নাকচ করে করে দিয়ে জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথ নেবেন না। বিএনপির ৪ সংসদ সদস্য কৌশলের অংশ হিসেবেই সোমবার শপথ নিয়েছেন। তিনি (মির্জা ফখরুল) যে শপথ নেবেন না, এটাও সুচিন্তিত কৌশলেরই অংশ।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল জানান, সরকারের সঙ্গে আপস করে বিএনপির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা একাদশ সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেয়নি।আর দলীয় সিদ্ধান্তেই তিনি শপথ নেননি।
আওয়াজ নামে একটি মানবাধিকার সংগঠন আয়োজিত ‘উন্নয়নের মৃত্যুকূপে জনজীবন/নুসরাত একটি প্রতিবাদ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমি শপথ নেইনি। এটিও দলীয় সিদ্ধান্ত ও আমাদের কৌশল।
সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার জন্য সময় বাড়াতে সংসদে কোনো আবেদন করেননি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে আমি নাকি সময় চেয়ে আবেদন করেছি। আসলে আমি কোনো চিঠিই দিইনি। সময়ও চাইনি। এটিও আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। এটি আমাদের কৌশল।
পরে একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নেওয়ার বিষয়টি ব্যাখা করেন।
বিএনপির সংসদে যাওয়ার ‘কৌশলের’ সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো যোগসূত্র নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে কোনো আপস হয়নি জানিয়ে মির্জা ফখরুল জানান, সমঝোতা করলে অনেক আগেই করতেন। খালেদা জিয়া সমঝোতা করলে এখন প্রধানমন্ত্রী থাকতেন। তিনি কখনই নীতির প্রশ্নে আপস করেননি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের সঙ্গে কোনো আপস কিংবা সমঝোতার যে কথা বলা হচ্ছে, সেটির প্রশ্নেই ওঠে না। সেটি যদি হতো, তবে কিছুদিন আগেও আমার নামে নতুন করে যে মামলা দেয়া হয়েছে সেটি নিশ্চয়ই হতো না। আমাদের কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাদের বিনাবিচারে জেলে থাকতে হতো না।
শপথ নিতে বিদেশি রাষ্ট্রের কোনো চাপ নেই জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলে নয়, বিশ্ব রাজনীতি দেখে আমরা সংসদে গিয়েছি। কথা বলার ন্যূনতম যে সুযোগ এটা কাজে লাগাতে দানবকে পরাজিত করার জন্য শপথ নিয়েছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছে, আমরা মনে করি যে সেটা কোনো নির্বাচনই ছিল না। ২৯ ডিসেম্বর রাতেই নির্বাচনের ভোট চুরি হয়ে গেছে। পুরোপুরিভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে, জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে শাসক দল যারা অর্থাৎ যারা রাষ্ট্রক্ষমতা ধরেছিল তা তাদের দিকে নিয়ে গেছে।