বিদেশের খবর: লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহতদের মধ্যে ২৭ বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
নিহতরা হলেন—নোয়াখালীর নাসির, টঙ্গীর কামরান, সিলেটের জিল্লুর রহমান, লিমন আহমেদ, আবদুল আজিজ, আহমেদ, জিল্লুর, রফিক, রিপন, আয়াত, আমাজল, কাসিম আহমেদ, খোকন, রুবেল, মনির, বেলাল ও মারুফ, কিশোরগঞ্জের জালাল উদ্দিন ও আল-আমিন, সুনামগঞ্জের মাহবুব, মাদারীপুরের সজীব, শরীয়তপুরের পারভেজ ও কামরুন আহমেদ মারুফ, মৌলভীবাজারের শামিম ও ফাহাদ এবং সুনামগঞ্জের মাহবুব ও নাদিম।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার বলেন, তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের প্রাদেশিক প্রধানের মাধ্যমে জীবিত চার বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে ফোনালাপ করে পাওয়া তথ্যমতে ২৭ বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি আরো জানান, এরই মধ্যে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌকাডুবিতে বেঁচে যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি, একজন মিসরীয় ও একজন মরক্কোর নাগরিক রয়েছেন।
দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া শিশির নামের একজন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টকে ফোনে জানান, বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে ছয়জনের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার চারুগা গ্রামে। তাঁরা হলেন রাজীব, উত্তম, পারভেজ, রনি, সুমন ও জুম্মান।
এদিকে, নিহত ও জীবিত বাংলাদেশিদের তথ্যের জন্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট দুটি হটলাইন নম্বর ৮৮-০২-৪৯৩৫৪২৪৬ ও ০১৮১১৪৫৮৫২১ চালু করেছে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লিবিয়া উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসী একটি বড় নৌকায় করে ইতালির উদ্দেশে রওনা হয়। গভীর সাগরে তাদের বড় নৌকাটি থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি নৌকায় তোলা হলে তিউনিসিয়া উপকূলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় মোট ৩৭ বাংলাদেশিসহ অধিকাংশই মারা যান।
গত রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, নৌকাডুবিতে ৫১ বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে ১৪ জনকে এরই মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। ৩০-৩৫ জন হয়তো মারা গেছেন।