আসাদুজ্জামান: ১৮৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির পুরাতন ভবনের লাইব্রেরী ভাংচুর ও তছনছ করার অভিযোগ এনেছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
সোমবার এ বিষয়ে এক জরুরি সাধারণ সভা করে তারা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা এদিন কলম বিরতি পালন করেন। পরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, যে বা যারা এর সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনে সোপর্দ করতে হবে।
সাধারন সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করে বক্তারা বলেন, ১৪৮ বছর ধরে দখলে থাকা এই ভবন এখন আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরী হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গত ২১ আগস্ট রাতে কে বা কারা এই ভবনের ভেতরের সব আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে দরজা জানালা আলমারি শোকেজ ভাংচুর ও বইপত্র তছনছ করে গেছে। এমনকি মূল্যবান কাগজপত্রও লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্ণিত করার জোর দাবি জানিয়ে তারা বলেন সেখানে রাতভর পুলিশের লোক পাহারায় থাকে। তা সত্ত্বেও এ ঘটনা কিভাবে ঘটলো তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীরা। তারা জানান এই ভবন ভেঙ্গে সেখানে সাততলা ভবন নির্মানের সরকারি অনুমোদন পাওয়া গেছে। অথচ সেই সাইনবোর্ডটিও সরিয়ে ফেলেছে রাতের দুর্বৃত্তরা।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ্অ্যাডভোকেট শাহ আলম বলেন, এই ভবনের জমি নিয়ে পুলিশের সাথে মামলা চলছে। এ মামলায় সমিতি গত ৮ আগস্ট অনুকূল রায়ও পেয়েছে। এর মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে এমন ঘটনা কেনো ঘটলো তার তদন্ত ও প্রতিকার চান তারা। সাধারন সভা ও বিক্ষাভ মিছিলে তারা এক মাসের আলটিমেটাম দিয়ে বলেন ‘কালেকটরেট চত্বরে জজ আদালত ও জুডিসিয়াল আদালতের মধ্যে যে প্রাচীর দেওয়া হয়েছে তা ভেঙ্গে চলাচলের পথ বের করে দিতে হবে। একই সাথে পুরাতন আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরী ভবনে ভাংচুর ও তছনছের সাথে জড়িতদের আইনে সোপর্দ করতে হবে’। এর অন্যথা হলে আইনি লড়াই ছাড়াও আইনজীবীরা কলম ছেড়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ, অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাস, অ্যাডভোকেট সরকার যামিনীকান্ত, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলি, অ্যাডভোকেট ওসমান গনি, অ্যাডভোকেট অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস আলি, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দিলু প্রমূখ।
পূর্ববর্তী পোস্ট