প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের ভদ্রখালী গ্রামের ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সম্পত্তি নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করতে না পেরে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক করে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভদ্রখালী গ্রামের ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও জামে মসজিদের সাবেক নেতৃবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, গত ২৬মে‘ ১৭ তারিখে মুসুল্লীদের সর্বসম্মতিক্রমে একই এলাকার মৃত আরশাদ আলী মোড়লের পুত্র আমির আলী মোড়ল কে সভাপতি এবং মৃত রহমুতুল্লাহ গাজীর পুত্র নুর ইসলাম গাজী সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির গঠন করা হয়। নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তারা মসজিদ এবং মাদ্রাসা সম্পত্তি নিজেদের নামে রেজিষ্ট্রি করিয়ে নেওয়ার পায়তারা শুরু করে। এঘটনায় আমরা ৯ জন সদস্য প্রতিবাদ করলে কৌশলে ওই সম্পদলোভী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাদের কে বাদ দিয়ে নতুন ৯জন সদস্যকে অন্তর্ভূক্তি করেন। এঘটনায় আমরা প্রতিকার চেয়ে গত ০১.০১.২০২০ তারিখে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ৭.১.২০২০ তারিখে কালিগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করি। এছাড়া যাতে কোন ভাবে তারা মাদ্রাসার সম্পত্তি নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করে নিতে না পারে বিষয়ে আদালতে একটি মামলাও করেছি। মামলা নং- ০১/২০ এবং শামছুর রহমানকে সভাপতি ও মোঃ আবু তাহের গাজীকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি প্রতিবাদ কমিটি গঠন করেছি।
কালিগঞ্জ উপজেলা ভদ্রখালী মৌজায় জে এল-৫৪, সাবেক এস এ ১৬২, হাল খ: ৩১১, সাবেক দাগ-৮১৬, হাল দাগ ১২৯৯, ৯ শতক জমি যা ৫ শতক জমি বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম গং এর। বাকী ৪ শতক ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নামে বিগত ইং- ২০/১২/২০০৬ তারিখে ৪৮৭৬ নং কোবলা মূলে মাদ্রাসা প্রাপ্য হন এবং চূড়ান্তভাবে রেকর্ড পাবলিশ হয়। বর্তমান সভাপতির সাথে যোগসাজস করে নিজে এবং নিজের ভাইদের নামে রেজিষ্ট্রি করার পায়তারা শুরু করে। এলাকার সচেতন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রতিবাদ করা হলেও আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে নিজেদের নামে রেজিষ্ট্রির পায়তারা চালাতে থাকে। এসব বিষয়ে ৩১/১২/২০১৯ তারিখে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামের বাড়িতে মিমাংসার জন্য বসাবসি করতে গেলে মেম্বরের সামনেই আমাদের মারপিট করতে উদ্যত হয়। কিন্তু আমাদের বাধার কারণে মাদ্রাসার সম্পত্তি তারা অবৈধভাবে রেজিষ্ট্রি করতে না পেরে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি, খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ০৯.১.২০২০ তারিখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মসজিদের হারির টাকা এবং ২৪ বিঘা নিজেদের আতœীয়দের নামে রেকর্ডের মিথ্যা অভিযোগ তুলে কাল্পনিক একটি সংবাদ সম্মেলন করে। যার সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। ওই ২৪ জমির দাতা আলহাজ্ব মুন্সি আহম্মদ আলী সাহেব জীবিত অবস্থায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, ভদ্রখালী ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নামে এবং পোতাদের নামে রেজিষ্ট্রি বন্টন করে গেছেন। এখানে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়া কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইবাদুল ইসলামের উপস্থিতিতে বাদজুম্মা আমাদের ৯ জনকের বহিস্কার করার যে তথ্য উপস্থাপন করেছে তাও মিথ্যা ও বানোয়াট। শুধু মাত্র আমাদের কারণে তাদের অসৎ উদ্দেশ্যে সফল করতে না পেরে এধরনের মিথ্যাচার করে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে যাচ্ছে। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে তাদের অপরাধ আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন। এ যেন উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো। তারা ওই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আবু তাহের, কামরুল ইনলাম, শাহাজান আলী গাজী, সুরাত আলি গাজী, শেখ জাহিদুর রহমান, শেখ হাফিজুর রহমান ও ক্বারী মোসলেম উদ্দিন।
পূর্ববর্তী পোস্ট