প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ছোট বোন পারুল ও তার স্বামী আব্দুল আজিজ কর্তৃক প্রবাসী বড় বোন আনজুয়ারার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করতে তার একমাত্র পুত্র সন্তানকে মারপিঠ, জখম ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির ষড়যন্ত্র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে
উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের শুভংকরকাটি গ্রামের খন্দকার ইসরাইল হোসেন ও প্রবাসী আনজুয়ারার একমাত্র ছেলে খন্দকার রাকিবুল ইসলাম ইমন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার মা আনজুয়ারা খাতুন কলারোয়া উপজেলার ৯নং হেলাতলা ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা মেম্বর। বর্তমানে তিনি বিদেশে রয়েছেন।
আমি আমার মায়ের একমাত্র সন্তান। মা প্রবাসে থাকায় একমাত্র সন্তান হিসেবে তার নামীয় (ক্রয়কৃত) শুভংকরকাঠী মৌজার বাড়িসহ ১৩ শতাংশ সম্পত্তিতে আমি একাই বসবাস করি। আমার জন্মও ওইখানে। আমি বিগত ৬ বছর যাবৎ পড়াশুনার কারণে ঢাকায় অবস্থান করছি। তিনি বলেন, আমার মায়ের নামের উক্ত সম্পত্তির সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাল নাগাদ রয়েছে। মা প্রবাসে যাওয়ার কয়েক বছর পর আমার বৃদ্ধ নানা নানীকে দেখভালের জন্য উক্ত সম্পত্তির উপর আমার খালা সাবিনা খাতুনকে আশ্রয় দেন। সাবিনা খাতুন কিছুদিন থাকার পর একপর্যায়ে আমাদেরকে না জানিয়ে আমার অন্য খালা পারুল খাতুন ও তার স্বামী আব্দুল আজিজকে আমাদের বাড়িতে রেখে তিনি চলে যান। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি আমার খালা পারুল এবং তার স্বামী আব্দুল আজিজ আদম ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া আমার মেজো মামা আবুল হাসানও তাদের যোগসাজসে একই ব্যবসা পরিচালনা করেন। এছাড়া তাদের নামে থানায় একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে সাথে নিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে আমার খালা পারুল ও তার স্বামী আজিজকে নামিয়ে দেই। তাদের নিজস্ব কোন সম্পত্তি না থাকায় তারা আমাদের সম্পত্তির পাশে আমার নানীর সম্পত্তিতে তৈরি একটি গোয়াল ঘরে আশ্রয় নেন। সেখানে আশ্রয় নেয়ার পর থেকে আমার ওই খালা,
খালু ও মামা হাসান আমার মায়ের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তারা সেখানে ইমারত নির্মাণেরও চেষ্টা করেন। বিষয়টি নিয়ে গত ২২/০৫/২০২১ তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে দিলে তিনি সেটা আমলে নিয়ে উভয় পক্ষকে মিমাংসার উদ্দেশ্যে থানায় ডেকে একটি নির্দেশনা প্রদান করেন। তারা সেটি না মেনে বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকান্ড ও প্রকাশ্যে অধমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন। যার খন্ডিত ভিডিও ও অডিও আমার মোবাইলে ধারণ করা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার মায়ের একমাত্র ওয়ারেশ আমি। সে কারনেই তারা আমাকে হত্যা করে উক্ত সম্পত্তি পুরোটাই দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে। এরই জের ধরে গত ১৬/১০/২০২১ তারিখে আমার খালা পারুল, খালু আব্দুল আজিজ এবং মামা হাসান আমার মায়ের সম্পত্তিতে ধানের গাদা দেন। আমি এতে বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও আমাকে প্রকাশ্যে খুন করবে বলে হুমকি প্রদান করেন। আমি বিষয়টি মোবাইলে ভিডিও ধারন করলে তারা সেটি বুঝতে পেরে আমাকে
আক্রমণ করে আমার মুখে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আমার ডাক চিৎকারে এ সময় স্থানীয় লোকজন হাজির হয়ে আমাকে উদ্ধার করেন এবং তারা আমাকে স্থানীয় কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত হরতে আমার খালা পারুল তার নিজের পরনের কাপড় ছিড়ে এবং তাদের বসতবাড়ির একাংশ টালি ভেঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন।
একপর্যায়ে তারা আমিসহ আমার পরিবারের ৪ জনের নামে শ্লীলতাহানী, নারী নির্যাতন, ছিনতাই ও ভাংচুরের একটি অভিযোগ থানায় দায়ের করেন। পরে এ নিয়ে একটি অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যা সম্পূর্ন মিথ্য ও থিত্তিহীন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে সাংবাদিকদের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সত্য সংবাদ পরিবেশনের জন্য অনুরোধ জানাই।
সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় তার খালা পারুল, খালু আব্দুল আজিজ ও মেজো মামা আবুল হাসানসহ এই কুচক্রি ও সন্ত্রাসী বাহিনীদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা পেতে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।