প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কলারোয়ায় প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে উল্টো সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলেন এ অভিযোগ করেন, কলারোয়া উপজেলার গদখালী গ্রামের আ: আজিজের পুত্র মনিরুজ্জামান।
লিখিত অভিযোগে মনিরুজ্জামান বলেন, আমি কলারোয়া সরকারি জি কে এম পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব একজন মামলাবাজ ও প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতকারী। তার কথায় টাকা না দিলে প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা ও ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতায় মারপিট করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে স্কুল জাতীয়করণের জন্য প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব সকল শিক্ষকদের কাছে টাকা দাবি করাকে কেন্দ্র করে সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকিব ও ক্রীড়া শিক্ষক মাহফুজা খাতুনকে বেধড়ক মারপিট করে এবং একপর্যায়ে মাহফুজা খাতুনকে শ্লীলতাহানী করে।
এ বিষয়ে মাহফুজা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা আমলী আদালত-৪ কলারোয়া আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। যার নং ৫৯/২১, তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২১। বিগত সময়ে আমার চাকুরী জাতীয়করনের জন্য ৩ কিস্তিতে ২লক্ষ টাকা নগদে গ্রহণ করে। পরবর্তীতে আমার কাছে আরো ৫০ হাজার টাকা দাবী করলে আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে খুনজখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে। এঘটনায় আমি কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি যার নং- ৯৯৬। আমার পাওনা টাকা ফেরত না দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব আমাকে হয়রানি করতে কলারোয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
এছাড়া আমাকে দমিয়ে রাখতে তার ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমাকে খুন জখমসহ একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকিধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। গত ১৩ এপ্রিল ২২ তারিখে আবারো ১লক্ষ টাকা দাবি করলে আমি অস্বীকার করায় জান ও মালের হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে। একপর্যায়ের ১৬ এপ্রিল ২২ তারিখে রাত ১০ টার দিকে আমার গ্রামের বাড়ী হতে ফেরার পথে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব সহ আরো ৪/৫ জন আমার উপর হামলা করে তাদের হাতে থাকা দা, হাতুড়ি, লোহার রড, কুড়াল দিয়ে আমাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা টাকা আদায় করায় আমি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা আমলী আদালতে ১ মার্চ ২১ তারিখে একটি মামলা দায়ের করি। যার নং-৬৪/২১। প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব ১৬ বছরে মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকতাবৃন্দ স্কুলে উপস্থিত হয়ে আপোষ মিমাংসা করে দিলেও প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে প্রতিহিংসা পরায়ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি ওই মামলাবাজ প্রধান শিক্ষক আব্দুর রবের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা কামনা করেছেন।