কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চাঁদপুরের ভিতরের ১ কিলো ৩১০মিটার রাস্তা সংস্কারের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাস্তাটি সরকারী নিয়মানুযায়ী সংস্কার করার দাবীতে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ও তথ্য মতে জানা গেছে, ঐ রাস্তাটি সংস্কার (কার্পেটিং) জন্য এলজিইডি টেন্ডার আহবান করার পরে লটারিতে বসু ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্টান কাজটি পাই। কার্পেটিং এর জন্য রাস্তার ব্যায় ধরা হয় ৩৫ লক্ষ ২৫ হাজার দুইশত ৫৯ টাকা। বসু ট্রেডার্স কাজটি নিজে না করে উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের আশরাফ মাস্টারের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাবুর কাছে কাজটি বিক্রি করে দেন। নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী টেন্ডারের লিখিত বাজেট হল, প্রথম যে রাস্তা আছে তার ওপরে ছাল উঠিয়ে নতুন করে রুলার করে রাস্তার ওপর নতুন করে পাথরের সাই ৫/৮ ,!২,১.৪ সাইজের পাথর দিয়ে সিমেন্ট মিশিয়ে ২.৫ ইঞ্চির কার্পেটিং করার কথা থাকলেও এলাকাবাসীর দাবি ঠিকাদার বাবু সরকারের নির্দেশনা বিন্দু পরিমাণ না মেনে সে নিজের ইচ্ছায় রাস্তাটির কার্পেটিং কাজ শেষ করেন। এবিষয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালে উপজেলার প্রকৌশলী দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা সদুত্তর দিতে পারেনি। উপজেলা প্রকৌশলী দ্যুতি মন্ডল কাছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কাজ সঠিক হয়েছে। দূর্নীতি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারি কাজ কি কোনটাই ১০০% হয়। এখানেই প্রশ্ন থাকে যে কার্পেটিং কাজে দূর্নীতি হয়েছে। আগের যে রাস্তা ছিল সেটা অনেক ভাল ছিল, এখন যে রাস্তা করেছে সেটি তার চাইতে অনেক খারাপ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অনেকে দাবী করেছেন যে অধিক টাকা লেনদেনের কারণে রাস্তায় এত দূর্নীতির পরও রাস্তার বৈধতা দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী বলেন, রাস্তা ব্যবহার করার নিয়ম ৫ /৮ইঞ্চি পাথর তা রাস্তা তৈরির পর একটিও চোখে পড়ে নাই। ২ইঞ্চি পাথর দিয়ে পুরো রাস্তার কার্পেটিং কাজটি তড়িঘড়ি শেষ করা হয়েছে। গ্রামবাসী অনেকবার ঠিকাদারের কাছে অভিযোগ করার পরও তাদের কথায় কোনরকম কর্ণপাত না করে উল্টো বিভিন্ন রকম ভাবে ভয় দেখিয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত করে রাখেন। এলাকাবাসী আর দাবী করেছেন, এত বিপুল পরিমাণের টাকার যে কাজের বরাদ্দ হয়েছে তার তিন ভাগের এক ভাগের টাকাও এই রাস্তার কার্পেটিং কাজে ব্যয় করা হয়নি। কাজের দুই থেকে তিন দিনের পরে রাস্তার কার্পেটিং করায় সদ্য কার্পেটিং করা একাধিক জায়গায় বড় বড় কার্পেটিং উঠতে শুরু করেছে। এলাকাবাসী বলেন, তারা এবিষয়ে খুব দ্রুত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন। যে ঠিকাদার এই রাস্তার কার্পেটিং কাজ করেছে ঠিকাদার সঠিকভাবে সরকারি নির্দেশনা মেনে কাজ করেছেন কিনা তার সঠিক তদন্ত জন্য আবেদন করা হব । গ্রামবাসী উর্দ্ধতন প্রশাসনের কাছে আবুল আবেদন জানিয়েছেন যে, রাস্তার কার্পেনিং কাজে দূর্নীতি হয়েছে কিনা তার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক। এসব দূর্নীতিকে প্রতিরোধ না করলে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব না।
পূর্ববর্তী পোস্ট