ডেস্ক রিপোর্ট: একটি পা হারিয়ে হতদরিদ্র ভ্যানচালক আব্দুর রশিদ যখন দিশেহারা, তখনই তাকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখায় নলতা হাসপাতাল। সেখানেই বিনা পয়সায় তার অপারেশন সম্পন্ন হয়। সংযোজন করা হয় কৃত্রিম পা।
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের নলতা হাসপাতাল চিকিৎসা সেবায় এক যুগান্তকারী নাম। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে হতদরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি আজ হুমকির মুখে।
জানা গেছে, ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত নলতা হাসপাতাল গোটা কালীগঞ্জসহ বৃহত্তর সাতক্ষীরা অঞ্চলের হত-দরিদ্র মানুষের চিকিৎসার অন্যতম আশ্রয়স্থল। এই হাসপাতালের উদ্যোগে কয়েকশ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে কৃত্রিম পা সংযোজন, চক্ষু অপারেশন, মা ও শিশু পরিচর্যা, ঠোঁট কাটা রোগীসহ নানা রোগের সাধারণ ও তৃণমূল মানুষকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং তা অব্যাহত আছে। এটি একটি চ্যারিটেবিল হসপিটাল। যা ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমেই পরিচালিত হয়।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের দাতাদের সহযোগিতায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে হাজার হাজার রোগী এখানে বিনামূল্যে ব্যয়বহুল চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন, উপকৃত হয়েছেন। উল্লিখিত দেশগুলোর প্রখ্যাত চিকিৎসকরা নলতা হাসপাতলে এসে বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
সূত্রটি জানায়, সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হলে সওজ কর্তৃপক্ষ উক্ত হাসপাতালের একটি অংশ ভেঙে ফেলার জন্য চিহ্নিত করে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রটি আরো জানায়, হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তৃণমূল দরিদ্র মানুষ সর্বাত্মক চিকিৎসা সেবা পেয়ে আসছে। হাসপাতালটি সাধারণ মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল। কালীগঞ্জের আবুল কালাম জানান, নলতা হাসপাতালের সেবায় আমরা সন্তুষ্ট। দীর্ঘ ২৫ বছর হাসপাতালটি চিকিৎসার শেষ ভরসা হিসেবে কাজ করে আসছে। হাসপাতালটি রক্ষায় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
এদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, রাস্তা প্রশস্তকরণের সময় জনকল্যাণে নিয়োজিত কোন স্থাপনা বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কোন ক্ষতি করা হবে না। #

