ফলের মধ্যে বিভিন্ন নিউট্রিয়েন্টেস থাকে, যা স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কাজে লাগে। জেনে হয়তো চমকে যাবেন যে, ফলের খোসাতেও লুকিয়ে আছে বিভিন্ন উপাদান যা শরীর ও সৌন্দর্যের উন্নতি ঘটায়।
এবার জেনে নিন, সেরকম কয়েকটি ফল- যার খোসা ফেলে দেবার আগে ভেবে দেখা যেতে পারে।
কমলালেবুর খোসা:
কমলা লেবু দেখতে যেমন চমৎকার এর পুষ্টিগুণও তেমন। এই ফলটি সবাই খেতেও পছন্দ করেন। ওজন কমানোর জন্য এটি খুব কার্যকারী। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক স্ক্রাব ও ব্লিচ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও ওরাল হেল্থ‚ শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা‚ কোষ্ঠকাঠিন্য ও অম্বল দূর করতেও সাহায্য করে। কমলালেবুর খোসা ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচায় ও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দেয়।
কলার খোসা:
কলা আমরা সবাই খেয়ে থাকি। জানেন কি কলার খোসার ভেতরের সাদা অংশ দাঁতে ঘষলে তা আরো সাদা আর ঝকঝকে হয়ে যায়? এ ছাড়াও কলার খোসা পোড়া চামড়ার ওপর রাখলে ব্যথা কমিয়ে দেয়। এ ছাড়াও পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে এক সপ্তাহ কলার খোসা ঘষুন ঠিক হয়ে যাবে।
বেদানার খোসা:
বেদানার খোসা মিহি করে বেটে মেছতা‚ ব্রণ ও যেকোনো ফুসকুড়ির ওপর লাগিয়ে রাখুন সেরে যাবে। এ ছাড়াও হার্টকে ভালো রাখে। ঠান্ডা লেগে গলা খুস খুস ঠিক করে। হাড়ের মজবুতি বাড়ায় এবং দাঁত ভালো রাখে।
তরমুজের খোসা : তরমুজের খোসার সাদা অংশ খুব ভালো। ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ত্বকের ওপরের নোংরা খুব সহজেই তুলে ফেলতে পারে। এর আরো একটা উপকার হলো ত্বকের Free Radical কে নিউট্রিলাইজ করে দেয় ফলে ত্বক ভালো থাকে।
শসার খোসা:
আমরা অনেকেই জানি না শসার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে এবং ক্যালোরি প্রায় নেই বললেই চলে। এর ফলে ওজন কমানো এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শসার খোসায় বিটাক্যারোটিন‚ এক ধরনের ভিটামিন A ও ভিটামিন K আছে যা হাড় শক্ত করে‚ রক্ত জমতে দেয় না এবং চোখের দৃষ্টির উন্নতি ঘটায়।
আপেলের খোসা:
আপেলের খোসায় Flavonoids আছে যা ক্যান্সার সেল কে নষ্ট করে দেয় এবং ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি ঘটায়। এ ছাড়াও আপেলের খোসায় উর্সোলিক অ্যাসিড আছে যা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।