ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টেই ম্যাজিক দেখাচ্ছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। চট্টগ্রামে দিনের শুরুতে যে ম্যাজিক শুরু করেছিলেন তা দিন শেষেও ধরে রাখলেন এই তরুণ টাইগার। তার স্পিনের মায়াজালে প্রথম দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৫৮ রান।
মেহেদী হাসান মিরাজ অভিষেকেই পাঁচ ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরমুখী করেছেন। সফরকারীদের হারানো ৭ উইকেটের বাকি দুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
ক্রিজে অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটসম্যান ক্রিস ওকস (৩৫) ও আদিল রশীদ (২) শুক্রবার সকালে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবে।
বেন ডুকেটকে দিয়ে শুরু করেছিলেন আর সবশেষ মঈন আলীকে ফিরিয়ে ম্যাচের লাগাম এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের হাতে মুঠোয় রেখেছেন মিরাজ। দলীয় ১৮ রান আর ইনিংসের দশম ওভারের পঞ্চম বলে প্রথম আঘাত হানেন মিরাজ। ১৪ রান করে সরাসরি বোল্ড হন বেন ডুকেট। এরপর ইংলিশ ইনিংসে আরো বড় আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। কুককে ফেরান টাইগার অলরাউন্ডার। ৪ রান করার পর সুইফ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ইংলিশ অধিনায়ক।
দ্রুত তিন উইকেট হারানোর ৬২ রানের জুটি গড়ে ইনিংস মেরামতের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন জো রুট ও মঈন আলী। কিন্তু ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে ওঠা রুটকে সাব্বির রহমানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মিরাজ। লম্বা সময় ক্রিজে থিঁতু হতে পারেননি অলরাউন্ডার ব্যাটসম্যান বেন স্টোকসও। ১৮ রান করে সাকিবের বলে পরিস্কার বোল্ড হয়েছেন তিনি।
ষষ্ঠ জুটিতে জনি বেয়ারস্ট্রোকে নিয়ে ৮৮ রান তুলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন চার আউট হয়ে রিভিউতে বেঁচে যাওয়া মঈন আলী। চা বিরতির পর শেষ পর্যন্ত মিরাজের ঘূর্ণির কাছে পরাস্ত হন ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান। ফেরার আগে অবশ্য মহামূল্য ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
দলীয় ২৭৭ রানে বেয়ারস্টোকে (৫২) রানে ফিরিয়ে টেস্ট অভিষেকই পাঁচ উইকেট-কীর্তি গড়েন মিরাজ। এরআগে বেয়ারস্টো সপ্তম উইকেট জুটিতে ওকসকে নিয়ে ৪৩ রান সংগ্রহ করে।
অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের পর টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ১০০০ রান পূর্ণ করেন বেয়ারস্টো।