নিজস্ব প্রতিবেদক: এক ব্যবসায়ীর নির্মিত প্রতিষ্ঠানের একাংশ দাবি করে না পেয়ে সম্পূর্ণ অংশ জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর বিরুদ্ধে।
রোববার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া মাছ বাজারের পাশে এ জবরদখলের ঘটনা আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না তিনি। উত্তর পারুলিয়ার ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, পারুলিয়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত জামাত আলীর বন্দোবস্তকৃত পারুলিয়া মাছ বাজারের পুরাতন ব্রিজ সংলগ্ন সাপমারা খালের চরভরাটি ৮০ বর্গফুট জমির উপর নির্মিত গাজী বোর্ডিং হাউজটি ২০০৪ সালে নিয়ম অনুযায়ি মালিকানা পরিবর্তন করে তার ছেলে ইব্রাহীম খলিল, জামাতা আরশাদ আলী, শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম ও ভাইঝি নাছিমা খাতুনের নামে বন্দোবস্ত নেয়। যার মেয়াদ চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত নবায়ন রয়েছে। উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারের কাছে বন্দোবস্তের আবেদন করে ওই জমি সংলগ্ন জেগে ওঠা চরে তিনি অ্যাসবেস্টার্সের চাল দিয়ে তিনটি দোকান ঘর নির্মাণ করেন। সম্প্রতি ওই তিনটি ঘর সংস্কার করে অ্যাসবেস্টর্সের পরিবর্তে টিনের চাল দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলে দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর তার কাছে একটি দোকান দাবি করেন। তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গত রোববার মিন্নুরের নেতৃত্বে কয়েকজন তার নির্মিত তিনটি দোকানের দেয়ালে ২নং পারুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয় ও পারুলিয়া মৎস্য অকসান সেন্টারের অস্থায়ী কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দখলে নেওয়া হয়। প্রতিবাদ করায় তাকে জামায়াত শিবিরের নাশকতার মামলায় চালান দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপরপরই মিন্নুরের নেতৃত্বে ওই তিনটি দোকানের সামনে টিনের দরজা লাগানোসহ অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে জানিয়ে কোন প্রতিকার পাননি। উপরন্তু মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন তিনি।
জানতে চাইলে দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, কারো জায়গা দখল নয়, সরকারি পরিত্যক্ত জমিতে দলীয় অফিস বানানো হয়েছে। কােন ব্যক্তিকে মিথ্যা গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। পারুলিয়া মৎস্য অকশান সেনটারের স্বত্বাধিকারী নাজমুল হোসেনের সঙ্গে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।