আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বাইনতলা গ্রামে মাটি কাটার সময় ম্যাগনেটিভ পিলার উদ্ধার গুঞ্জন নিয়ে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসির মধ্যে। আসলে সেটি মূল্যবান ধাতব পিলার না কি কোন প্রতারক চক্রের পাতানো ফাঁদ এনিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। উত্তর বাইনতলা গ্রামের আমজেদ মোল্যার পুত্র কামরুল মোল্যা ওরফে কামু মোল্যা দিনমজুর দিয়ে তার ইজারা নিয়া জমিতে মাটি কাটানোর কাজ করাচ্ছিলেন। দিনমজুর মৃত মথুর কৃষ্ণ সরকারের পুত্র মাদার সরকার জানান, মাটি কাটার সময় মনিন্দ্র’র কোদালে শক্ত কিছুর আঘাতের শব্দ হলে তিনি মাটি খুড়ে দেখেন সোয়া একহাত লম্বা ধাতবের পিলারাকৃতির একটি বস্তু। এর পরপরই কামরুল তাদেরকে এখানে কাজ করার প্রয়োজন নেই এমন অযুহাতে অন্যাত্র কাজ করার কথা বলে সেখান থেকে নিয়ে আসেন। দিনমজুরদের বক্তব্য তাদেরকে বাড়ির পুকুরে কাজ করতে বলে কামরুলের স্ত্রী ও পুত্র রাজিম সেটি উঠিয়ে তাদের ঘরে নিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে এলাকার ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলতে থাকে। তাদের ধারণা এটি বৃটিশ ম্যাগনেটিভ পিলার বা থাম। যা অতি মূল্যবান। জমির মালিক বড়দল গ্রামের মৃত: আব্দুল জব্বারের পুত্র আশরাফুল ইসলাম, স্থানীয় মিলন মোল্যাসহ অনেকে জানান, কয়েক বছর ধরে লোক মুখে বলতে শুনেছি ঐখানে একটা পিলার আছে। রাতের আধারে জমির একাধিক জায়গায় খোড়া-খুড়ির চিহ্নও আছে। কামরুল সেটি পেয়েছে এবং গোপনে বিক্রয়ের পায়তারা চালাচ্ছে। গত ৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ঘটনার দিন থেকে কামরুল পালাতক। কামরুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে তার সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে ঘটনাটি প্রচার না করার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে প্রচার না করার জন্য প্রতিবেদককে বিকাশে টাকা দেওয়ার জন্য একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করেন। কামরুলের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন জানান, মাটি কাটার সময় একহাত লম্বা একটি খোয়া-সিমেন্ট জমানো পিলার মত পাওয়া যায়। সেটি কি দেখার জন্য আমি ভেঙ্গে ফেলেছি। যার খোয়া-বালির টুকরো তার উঠানে রাখা আছে। পার্শ্ববতী প্রাইমারী স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থীর বক্তব্য ঘটনার দিন রাতে কে বা কারা তাদের স্কুলের বাথরুমের স্লাপ ভেঙে নিয়ে গেছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী কামরুলের বক্তব্যে যে সিমেন্টের পিলার ভাঙার কথা বলা হয়েছে সেটা ঐ বাথ রুমের স্লাপের অংশ। আশাশুনি থানার এসআই বিশ্বজিৎ সরকার প্রতিবেদককে জানান, হয়তো একটি প্রতারক চক্রের সেন্ডিকেড কাজ করছে ওখানে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে বলা যাবে। ইউপি চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্যা জানান, মাটি কাটার সময় সীমানা পিলার পাওয়া গেছে এবং সেটি কামরুলের কাছে আছে বলে শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। বিষয়টি নিয়ে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি তৎক্ষনাত বিষয়টি তদন্তে এসআই বিশ্বজিৎ সরকারের দায়িত্ব দেন।
আশাশুনিতে ম্যাগনেটিভ পিলার উদ্ধার নিয়ে কৌতুহল !
পূর্ববর্তী পোস্ট