নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের লাবসা গাবতলা এলাকার মৃত কাজী আবু আহম্মেদের ছেলে কাজী আলী হোসেনের পরিবার অহেতুক হয়রানীমূলক মামলায় জর্জরিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের মৃত মোছরুর আহমেদ’র ছেলে জামাত-বিএনপির মদদদাতা শেখ অকিল আহমেদ স্থানীয় মহিলা মেম্বর ফেরদৌসি ইসলাম মিষ্টিরসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে একটি জাল দলিল করে দীর্ঘদিন যাবৎ ঐ পরিবারের জমি জবর-দখল করার পায়তারা করছে। বিভিন্ন কুট কৌশলে থানা ও আদালতে হয়রানীমূলক মামলা করে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। বিগত কয়েক মাস আগে কাজী আলী হোসেনের পারিবারিক গোরস্থার পরিষ্কার করাকে কেন্দ্র করে সদর থানায় ফৌজদারী আইনে ২১/১৪১ মামলা করে। পরে গাছ কাটা মামলা দায়ের করে যার নং জি,আর-১৫০/১৮। সেই অভিযোগের সত্যতা পাইনি তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর পর তাদের অত্যাচার বৃদ্ধি পেলে নিরুপায় হয়ে কাজী আলী হোসেন বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জমির ব্যাপারে মামলা করলে শেখ অকিল আহমেদ ক্ষিপ্ত হইয়া একের পর এক মামলা দায়ের করে। এই মামলায় স্বার্থ চরিতার্থ করতে না পারায় হিংসাত্বকভাবে মামলা করে যার নং ১০/০৩/২০১৭ তারিখে জি,আর-১৪১/১৭, ইং-০৮/০৩/২০১৮ তারিখে পি-১৯৫/১৮, ইং- ১৩/০৩/২০১৮ তারিখে পি-২২০/১৮। এছাড়া কাজী আলী হোসেনের পরিবারের মহিলাসহ ১১ জন সদস্যের নামে হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করে। মামলা করে ও ক্ষ্যান্ত হয়নি স্থানীয় ইউপি মেম্বর ফেরদৌসি ইসলাম মিষ্টি মামলাবাজ শেখ অকিল আহমেদ’র সাথে আতাত করে আলী হোসেনের পরিবারকে সামাজিকভাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করছে। এ পরিবারটিকে এক ঘোরে করার চেষ্টা করছে। গোসল, রান্না ও সুপেয় পানি নেওয়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এবং বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে কাজী আলী হোসেনের পরিবারকে উৎখাত করার হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন ঐ ইউপি মেম্বর মিষ্টি। একই এলাকার মৃত মতলেব আহম্মেদ’র ছেলে শেখ মোকলেস আহম্মেদ, ইউপি মেম্বর ফেরদৌসি ইসলাম মিষ্টির স্বামী নজরুল ইসলাম বাবু, মৃত অহিদ আহম্মেদ’র ছেলে শেখ শহিদ আহম্মেদ, শফিউল্লাহর ছেলে নুরুল্লাহ শেখ, শেখ অকিল আহমেদ’র ছেলে শেখ শাকিল আহম্মেদ সঙ্গবদ্ধ হয়ে নানাভাবে ঐ অসহায় পরিবারটিকে হুমকি-ধামকি ও হয়রানী করছে। স্বার্থ উদ্ধার বা প্রতিপক্ষকে সামাজিকভাবে হেয় বা হয়রানি করতে আমাদের সমাজে অহরহ মিথ্যা মামলার কথা শোনা যায়। গোষ্ঠিগত ও পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে নিরাপরাধ মানুষকে ফাঁসাতে মিথ্যা কল্প কাহিনী সাজিয়ে থানায় কিংবা আদালতে এসব মামলা রুজু করা হয়। কোন কোন সময় যা সিনেমার কাহিনীকেও হারমানায়। মামলা চালাতে গিয়ে অনেক ভূক্তভোগী হন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরা সদরের ১৩ নং লাবসা ইউনিয়নের লাবসা গাবতলা এলাকার কাজী আলী হোসেনের পরিবারের উপর। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই গ্রামের কাজী আলী হোসেনসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে পরপর সদর থানায় দু’টি মিথ্যা মামলা ও আদালতে ৩টি মামলা দায়ের করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি শেখ অকিল আহম্মেদের বিরুদ্ধে। মামলা থেকে বাঁচতে আদালত পাড়ায় ঘুড়তে ঘুড়তে দিশেহারা হয়ে পড়েছে অসহায় এই পরিবারটি। মামলা ৫টির এজাহার বিশ্লেষণ করে একাধিক আইনজীবি বলেন, মামলায় তথ্যগত নানা অসঙ্গতি রয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয়, হয়রানি করতেই মামলা ৫টি করা হয়েছে। একই কথা জানান স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদি শেখ অকিল আহমেদ’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলা সত্য, আমি ঐ পরিবারের মহিলাসহ ১১ জনের নামে মামলা করেছি। এটা সত্য। তবে ঐ পরিবারের লোকজন আমাদের হুমকি-ধামকি প্রদান করে। এব্যাপারে ইউপি মেম্বর ফেরদৌসি ইসলাম মিষ্টি জানান, আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিল বলে আমিও একটি মামলা করেছি। আমি কোন দল করিনা। আমাকে জব্দ করার জন্য এ অভিযোগ দিয়েছে। কাজী আলী হোসেনের পরিবারের প্রতি শেখ অকিল আহমেদ এর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়রানী ও অত্যাচার চলতে থাকলে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল। এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের জরুরী আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।
লাবসায় মামলায় জর্জরিত হয়ে দিশেহারা একটি পরিবার !
পূর্ববর্তী পোস্ট