আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরায় সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইনামুল হক বিশ্বাস স্মরনে এক স্মরনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আয়োজনে শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ স্মরন সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক ফাহিমুল হক কিসলুর সভাপতিত্বে উক্ত স্মরন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের সরদার, জেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনদ কুমার, জজ কোর্টের পিপি এড. ওসমান গণি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ নিমাই মন্ডল, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক লায়লা পারভীন সেজুতি, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাসানুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, শ্যামনগর উপজেলা কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডল, তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজউদ্দিন, এড. মুস্তফা নুরুল আলম,এড. অরুণ ব্যানার্জী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সাংস্কৃতিক পরিষদের হেনরি সরদার, কলেজ শিক্ষিক সমিতির নিত্যনন্দ, উদীচীশিল্পী গোষ্ঠীর সিদ্দিকুর রহমান, জাসদের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা বাসদের শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, জেলা সিপিবি’র সভাপতি আবুল হোসেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ইনামুল হকের পুত্র রুবেল, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রাশেদুজ্জামান রাশি। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, জেলা ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক,বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী এম এ জলিল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ইনামুল হক বিশ্বাস ৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহবানে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করে সাতক্ষীরার ভোমরা, টাউনশ্রীপুরসহ ৮ ও ৯ নং সেক্টরের বিভিন্ন জায়গায় সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে পাক সেনাদের পর্যদুস্ত করেছিলেন। তিনি যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মুক্তি যোদ্ধাদের সংগঠিত করে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৮৯ ও ২০১০ সালে দুই দুইবার জেলার নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হয়েছিলেন। তিনি মুক্তিাযোদ্ধার চেতায় বিশ্বাসী জনগনকে এবং নতুন প্রজন্মকে সংগঠিত করে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিরোধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে বলিষ্ঠ ভুমিকার পালন করেন।
উল্লেখ ঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনামুল হক বিশ্বাস ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগভোগের খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে মারাযান।
০৮.০৯.১৮