বিনোদনের খবর: ‘গিটারহিরো’কে শেষবারের মতো একবার দেখতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। গতকাল সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ আনা হয় শহীদ মিনারের পাদদেশে। সংগীতশিল্পী, অভিনয়শিল্পী, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের মানুষের চোখই ছিল অশ্রুসিক্ত। ঢাকার বাইরে থেকেও ছুটে এসেছেন বাচ্চুভক্তরা। দুপুর ১টায় আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। বাদ জুমা তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাজা হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। এরপর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হিমাগারে। আজ চট্টগ্রামে মায়ের কবরের পাশে কবর দেওয়া হবে এই কিংবদন্তিকে।
সহকর্মীর মৃত্যুর দিনেও তাঁকে গাইতে হলো। সরকারি আয়োজনে বরগুনা স্টেডিয়ামে হলো ‘উন্নয়ন কনসার্ট’। স্টেজে অন্য এক জেমসকেই দেখল উপস্থিত শ্রোতা ও টিভি দর্শক। আইয়ুব বাচ্চুর শোকে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন ‘নগর বাউল’। ‘আজকের শো উত্সর্গ করছি বাংলাদেশের কিংবদন্তি গায়ক আইয়ুব বাচ্চুকে’, বেদনাভরা কণ্ঠে থেমে থেমে বললেন। এরপর বলতে চাইলেন ১৫ বছর আগের একটি স্মৃতি, “বাচ্চুর সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে বললাম, ‘আমাদের মতো এই রকম শিল্পীদের…’ [গল্পটি আর বলতে পারলেন না]। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, ‘শো মাস্ট গো অন’। তাই চেষ্টা করব।”
এর পরই টানা প্রায় ১০ মিনিট ধরে গিটারে তুললেন শোকের সুর। ‘ছয়টি তারে লুকিয়ে আছে ছয় রকমের কষ্ট আমার, ফুরিয়ে যাওয়া মানুষের মতো, নির্ঘুম রাত জেগে জেগে, গিটার কাঁদতে জানে’—জেমসেরই গান। সত্যিই গিটার কাঁদতে ও কাঁদাতে জানে। কেঁদে উঠল গিটার, হাউমাউ করে কাঁদলেন জেমস। সেই কান্নার ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল। জেমসের কান্না ছুঁয়ে গেলে ভক্তদেরও।
আইয়ুব বাচ্চুর জন্য কাঁদছে বাংলাদেশ
পূর্ববর্তী পোস্ট