অনলাইন ডেস্ক: মোবাইল ফোনে দীর্ঘ এক মাস ধরে চলে প্রেম। কিন্তু, প্রেমিকাকে একনজর দেখার জন্য প্রেমিকের আর তর সইছে না। অবশেষে একদিন দুরু দুরু বুকে কিশোর প্রেমিক তার প্রিয়তমার সঙ্গে প্রথমবার দেখা করতে যায়। ব্যস, এখানেই ঘটে বিপত্তি।
এদিকে প্রেমিকার পরিবারের আবদার, দেখা-দেখি পর্বের আগে খাওয়া-দাওয়া হোক। হয়েছেও তাই পেট ভরে ভাত, সব শেষে তেলের পিঠা খেয়ে ছেলেটি ‘স্বপ্নের রাজকন্যা’ দেখতে প্রস্তুত। এরপর হঠাৎ করেই মুখে ঘোমটা টেনে ঘরে প্রবেশ করলেন ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা। ভারতের আসামে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে।
কিন্তু, মোবাইলের ওপাশে যার মধুর কোকিল কণ্ঠে মজেছিল আসামের গোয়ালপাড়া জেলার শিমলিতোলা এলাকার হেপচাপাড়া গ্রামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর ছেলেটি, তাকে দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। বৃদ্ধাকে দেখা মাত্রই ওই প্রেমিক পালানোর চেষ্টা করেছিল।
কিশোর ছেলেটির অভিযোগ, কন্যা পক্ষ ‘ধরে বেঁধে’ ওই স্বামী হীনা নারীর সঙ্গেই কিশোরের বিয়ে দিয়েছে। পরে ছেলেটি বউ নিয়েই বাড়ি ফিরেছে। বউয়ের বয়স শাশুড়ির থেকেও বেশ কয়েক বছর বেশি! অর্থাৎ ছেলের নানির বয়সী ‘বউ’।
নতুন বউয়ের দাবি, কাজী বিয়ে দিয়েছেন। স্বামীর ঘরেই সে থাকবে। এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন শ্বশুর বাড়িতে।
জানা যায়, ওই কিশোর প্রেমিক মিস্ত্রির কাজ করে।
প্রেম প্রসঙ্গে ছেলেটি জানায়, মাসখানেক আগে বঙাইগাঁওয়ে একজনকে ফোন করতে গিয়ে ভুল নম্বরে ফোন করায় তা চলে যায় বরপেটা জেলার সুখারচর গ্রামে, ওই নারীর মোবাইলে (এখন যিনি বউ)। সেই থেকে শুরু। সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। কিশোর প্রেমিক বার বার দেখা করতে চাপ দেয় তার প্রেমিকাকে। কিন্তু ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে জানায়, একেবারে বিয়ে করতে হবে। একপর্যায় গত মঙ্গলবার প্রেমিকার বাড়িতে যায় ওই কিশোর। বাড়ির লোক কাজী ডেকে বিয়ের ব্যবস্থা করে।
এ ঘটনা জানাজানি হতেই ‘নতুন বউ’ দেখতে আশপাশের গ্রামের লোক বাড়িতে ভীড় করছে। যদিও এ ঘটনায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে ছেলেটি। অন্যদিকে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না নতুন বউও।
এমন বিয়ে মানতে নারাজ কিশোর ছেলেটির পরিবার ও তার গ্রামের মানুষ।
এ নিয়ে অল আসাম মুসলিম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আমসু) বিষয়টির নিষ্পত্তিতে এগিয়ে এসেছে। কিশোর ছেলেকে জোর করে বিয়ে দেয়ার ঘটনা জানতে পেরে চাইল্ডলাইন বিষয়টি রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনেও জানিয়েছে।
জেলাশাসক বর্ণালী ডেকা জানান, এখনও পুলিশে অভিযোগ হয়নি। আইন মেনেই ব্যবস্থা হবে বলে জানান তিনি।