দেশের খবর: বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট৷ বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, ঐক্যপ্রক্রিয়া। সেই সঙ্গে ২০ দলের অন্তর্ভুক্ত সকল দলের প্রতীক হবে ধানের শীষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বাক মাহমুদুর রহমান মান্না।
মান্না বলেন: আমরা যতগুলো দল মিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছি তারা সবাই একটি কমন প্রতীক নিয়ে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব এবং সেই কমন প্রতীক হবে ধানের শীষ।
আসন বন্টন নিয়ে বৈঠক হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মান্না বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে আলোচনার শুরু করেছি।
নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে যুক্তফ্রন্ট এবং আওয়ামী লীগের মুখোমুখি অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মান্না বলেন: আমরা যখন সরকারের সাথে দেখা করি প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা নির্বাচন কমিশনারের কাছে গিয়ে যা বলেছি নির্বাচন পেছানোর জন্য তাতে অসংখ্য যুক্তি আছে। বিশেষ করে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে সারা ইউরোপ আমেরিকায় উৎসব হয়। এখানে আমাদের পর্যবেক্ষকদের আসার কথা তারা আসতে পারবেন না। এতে সারা বিশ্ব থেকে একধরণের বিচ্ছিন্ন করে ভোট করার এই প্রচেষ্টা খারাপ। সরকারি দল বলতে পারে যে, এক ঘণ্টাও পেছানো যাবে না। যা, একধরণের হুমকিস্বরূপ। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি।
মান্না এ সময় আরো বলেন, ‘গতকাল বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ বাহিনীর নির্মম হামলার নিন্দা জ্ঞাপন করছি। একদিকে সরকার পক্ষ চারদিন ধরে সমস্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে একটি উৎসব করলে। সেই উৎসবের ফলে দুজন মারা পর্যন্ত গেলো। তখন পুলিশ কোনো কিছু করেনি৷ অথচ এদিকে দেখা গেলো, বিরোধীদল বিএনপির মনোনয়ন পত্র বিতরণ উপলক্ষে যখন নেতাকর্মীরা জমা হয়েছে তার একদিন আগে নির্বাচন কমিশন সড়ক পরিষ্কার রাখতে বিবৃতি দিলেন এবং তার পরদিনই এই হামলা হলো। আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশনের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত ছিলো।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, এই হামলার পর পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সরকারি দলের হাত আছে।’
‘অসমর্থিত কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য খবরে প্রকাশ পাওয়া গেছে যে যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা হেলমেট পরে, সেই যে হেলমেট বাহিনী আমরা কোটা আন্দোলনোর সময় দেখেছিলাম, সে বাহিনী নয়াপল্টনে তৎপর ছিল। আমরা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি ও নিন্দা জানাই৷’
আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি সরকার চেষ্টা করছে, বিরোধীদল যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণফোরামের মহাসচিব মোস্তফা মহসীন মন্টু, ঐক্যপ্রক্রিয়ার সুলতান মুহাম্মদ মনসুর প্রমুখ।