নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছেন এক যুবলীগ নেতা। আহত মাদ্রাসা শিক্ষক হলেন, কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মওলানা আতাউর রহমান। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত মাদ্রাসা শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, দেয়াড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী খান ও তার সহযোগী ওয়াজেদ আলি তাকে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কলারোয়ার খোরদো বাজারে আওয়ামী লীগ অফিসের কাছে একটি ক্লাবের মধ্যে নিয়ে যান। এ সময় তারা তাকে কাঠের চলা দিয়ে মারধর করে আহত করেন। এর আগে তারা তার মোটর সাইকেল থামিয়ে চাবি কেড়ে নেন। খোরদো ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে দেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, সম্প্রতি তার মাদ্রাসায় পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনে সভাপতি পদে জুয়েল রানা ও ওয়াজেদ আলি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে হেরে যান ওয়াজেদ আলি। নির্বাচনের সময় তিনি ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্বে ছিলেন। নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় ওয়াজেদ আলি ও তার সহযোগী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী খান তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরই জেরে বৃহস্পতিবার তিনি মোটর সাইকেলে মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তার মোটর সাইকেল থামিয়ে চাবি কেড়ে নেন বাপ্পী খান ও ওয়াজেদ আলি। তাকে তারা ডেকে একটি ক্লাবের মধ্যে নিয়ে কাঠের চলা দিয়ে তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করতে থাকেন। এ সময় তারা বলেন ‘নির্বাচনে দুই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই টাকা দে, না হলে তোর রক্ষা নেই। আতাউর বলেন, মারপিট করে আমাকে ফেলে চলে যাবার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। তারা আমাকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি জানান, ওয়াজেদ আলি আমাকে গলাধাক্কা দিয়েছেন। কিল ঘুষিও মেরেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা বাপ্পী খান বলেন, আমাদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিল সত্য। তবে তা মিটে গেছে। কুশোডাঙ্গা ইউপি সদস্য মো. হাফিজুর রহমান দুইপক্ষকে বসিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। এ সময় পুলিশের দুই সদস্যও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আমরা এক সাথে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি ফিরে এসেছি।
পূর্ববর্তী পোস্ট