দেবহাটা প্রতিনিধি: বর্তমান সরকার যেখানে বাল্যবিবাহ বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। সেখানে কিছু কিছু অভিভাবক সরকারের এই আইন অমান্য করে স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করে গোপনে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের চিনেডাঙ্গা গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া ছাত্রী কবিতা ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে চিনেডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে পাশ করে। চলতি বছরে সে সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়। সে চিনেডাঙ্গা গ্রামের মৃত পুনিল বাঙ্গাল এবং যমুনা রানীর ছোট মেয়ে। মা যমুনা রানী উচ্চ আকাংঙ্খা আর লোভের বসে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পূর্বেই একে একে বিয়ের পিড়িতে বসিয়েছেন তিন কন্যাকে। এই বাল্যবিবাহের কারনে তার একটি মেয়ের অকাল মৃত্যুও ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানাযায়। সাম্প্রতি ছোট মেয়ে কবিতাকে স্থানীয় মেম্বর মোনাজাত আলীর সহযোগীতা এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাড়ি থেকে গোপনে এক আতœীর বাড়িতে নিয়ে একই উপজেলার কুলিয়া গ্রামের সুব্রত নামের এক অধ্যবয়সী যুবকের সাথে বিবাহ সম্পন্ন করেছেন। রবিবার অপ্রাপ্ত বয়সী ঐ মেয়ে জামায় সহ বাড়িতে আসলে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা জানতে চাইলে কবিতার মা যমুনা প্রভাবশালিদের ইন্ধনে তাদের উপর ক্ষেপে যায়। তবে, এরিপোর্ট লেখার পূর্বে কথিত প্রভাবশালিরা বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়।
এনিয়ে ইউপি সদস্য মোনাজাত আলী ঘটনার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এব্যাপারে, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার জানান, বাল্যবিবাহ একটি অভিশাপ। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষে বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে সমাজকে রক্ষা করতে বাল্যবিবাহের উপরে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।