নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বড়দলে এক মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ঐ ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে ও মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বড়দল গ্রামের মেজবার মোল্যার মেয়ে ও বড়দল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী প্রায় এক বছর ধরে পার্শ্ববর্তী মৃত আবুল সরদারের ছেলে বড়দল দারুসসুন্নাহ আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক আনারুল ইসলাম এর কাছে প্রাইভেট পড়তো। প্রতিদিন রাত ৯ টার সময় পড়া শেষ হলে ঐ ছাত্রীর মা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসতো। কিন্তু গত রবিবার রাত ৮টার দিকে পড়ানো শেষ করে দেন ঐ প্রাইভেট শিক্ষক। পরে মেয়েটিকে কৌশলে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার নাম করে নিয়ে এসে তাকে একা পেয়ে কিছুদূর যেতে না যেতেই শিক্ষক তাকে জাপটে ধরে তারে স্পর্শকাতর’ স্থানগুলোতে স্পর্শ করে তাকে এলোপাতাড়ি চুমু দিতে দিতে তার সেলোয়ার খুলে ফেলার এক পর্যায়ে মেয়েটির ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোককজন আশার আগেই মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায়। তাকে উদ্ধারের পর তার জ্ঞান ফিরলে সে কাঁদতে কাঁদতে শিক্ষকের জঘন্য কর্মকান্ডের কথা বিস্তারিত জানায়। একাধিক প্রতিবেশী মাদ্রাসা শিক্ষক আনারুল ইসলাম সম্পর্কে জানান, পূর্বে একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ধর্ষণ চেষ্টার এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষক আনারুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে দারুসসুন্নাহ আলিম মাদ্রাসায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে তিনি ছুটিতে আছেন। এব্যাপরে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুস সালাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এব্যাপরে ঐ ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে এসআই হাসানুজ্জামান কে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বড়দলে শিক্ষক কর্তৃক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা
পূর্ববর্তী পোস্ট