ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: দুই বউ ও এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহ উদ্দিনকে প্রত্যাহার করে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মু. আনোয়ারুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নারী নির্যাতন, যৌতুক দাবি ও ব্যবসায়ীকে থানায় নিয়ে চেক আদায়ের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহ উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ওসি সালাহ উদ্দিনের স্থলে জেলার বিশেষ শাখার পরিদর্শক বিল্লাল হোসেনকে পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মু. আনোয়ারুল হক বলেন, পরিদর্শক সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গত চার দিনে নারী নির্যাতন, যৌতুক দাবি এবং এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দেড় কোটি টাকার চেক লেখিয়ে নেয়ার অভিযোগে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলা করেছেন তার দুই স্ত্রী এবং অপরটি করেছেন মহিউদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সালাহ উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত ২৮ নভেম্বর অভিযুক্ত পরিদর্শক সালাহ উদ্দিনের প্রথম স্ত্রী শামসুন নাহার সুইটি দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার বিচারক আবদুল আউয়াল মামলাটি আমলে নিয়ে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের আদেশ দেন।
এরপর গত ১ ডিসেম্বর সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন নগরীর মনোহরপুর এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মহিউদ্দিন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সালাহ উদ্দিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক ব্যবসায়ীকে হোটেল থেকে উঠিয়ে থানায় নিয়ে দেড় কোটি টাকার চেক লিখে নেন।
একই দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর কোর্টে ২০ লাখ টাকার যৌতুক দাবির অভিযোগে সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিদার তাহমিনা আক্তার পান্না।