কলারোয়া প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্কুল ছাত্রীর খাবারে চেতনানাশক বিষ মিশিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে কামাল হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সে উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাদিয়ালীর ফুলতলা এলাকার আলাউদ্দীনের ছেলে। রোববার বিকালে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গীয়াস জানান-বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত মেয়েটির মা আমেনা খাতুন বাদী হয়ে শনিবার কলারোয়া থানা একটি মামলা করেন। এই মামলা হওয়ার পরে থানার এসআই ইস্রাফিল হোসেন ও এএসআই আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় অভিযুক্ত আসামী কামাল হোসেন উপজেলার ফুলতলা বাজারে পুলিশের উপস্থিত টেরপেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে। রোববার উক্ত আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে উপজেলার ভাদিয়ালী গ্রামের রোকনুজ্জামানের স্ত্রী আমেনা খাতুন রোববার দুপুরের দিকে জানান-তার বাড়ীতে ৩টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ৭ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রতিবেশী আলাউদ্দীনের ছেলে কামাল হোসেন গোপনে তার বাড়ীতে রান্না ঘরে প্রবেশ করে। রান্না ঘরে শব্দ শুনে তিনি দ্রুত এসে দেখেন যে কামাল হোসেন রান্না ঘরের মধ্যে। আমাকে দেখে সে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে চাচীর পরিবর্তে ভাবী ডাকা শুরু করে। এসময় তার মোবাইল পড়ে গেছে বলে দ্রুত চলে যায। বিষয়টি তিনি ওই সময় কাউকে কিছু বলেন নি। আমার মেয়ে তাফরিন সুলতানা (১৫) রাতের খাবার খাওয়ার সময় ভাত তিতা লাগে কেন, এমন কথা জিজ্ঞাসা করিলে তখন আমার সন্দেহ হয়। এর পরে আমি দ্রুত রান্না ঘরের মিটসেফ খুলে দেখি খাবারের উপর সাদা সাদা কি যেন পড়ে আছে। এর মধ্যে আমার মেয়ে কাপতে কাপতে অচেতন হয়ে পড়ে। এসময় তাকে স্থানীদের সহযোগিতায় দ্রুত উদ্ধার করে কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। কলারোয়া হাসপাতালের চিকিৎসক তানভীর সিদ্দিকী জানান-ওই মেয়েটিকে শুক্রবার রাতে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে সে সুস্থ্য রয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট