জাহাঙ্গীর আলম লিটন কলারোয়া ঃ কলারোয়া উপজেলায় ইরি-বোর চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় মাঠে ময়দানে চোখ ধাঁধানো সবুজের সমরোহ। এরই মাঝে মহামারী করোনা ভাইরাস কে কেন্দ্র করে শ্রমিক সংকটে পড়েছে চাষিরা। হয়তো বা শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা সময়মতো তাদের স্বপ্নের ধানগুলো ঘরে তুলতে পারবেন কি না বর্তমানে এই ভয়ই এলাকার কৃষকদের মনে। তারপরও যে সব স্থানীয় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন শ্রমিক মূল্য। স্থানীয় কৃষক মোঃ আজগর আলী জানান আমাদের সঞ্চয় কৃত অর্থ ও বিভিন্ন এনজিও নিকট থেকে ঋণ নিয়ে ইরি-বোরো চাষ বাদে খরচ করেছি হাতে টাকা নেই সামনে কালবৈশাখী। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আমাদের পথে বসে যেতে হবে। এ ফসলের খরচ সবচেয়ে ব্যায়বহুল। তারপরও গুরুত্বের সাথে বোরো ধানের চাষবাদ করে আসছি।
তবুও সবকিছু উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে মাঠে কাজ করছে পুরুষ, কিশোর শ্রমিকরা। এছাড়াও দেখাযায়, পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সহযোগিতা করতে নিরব নেই নারীরাও।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানাযায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায় ১২ হাজার ১ শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মহাসিন আলী জানান, বিগত দিনে এই উপজেলায় বোরো,আউশ ও আমন ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। এবারও ইরি ধানের বাস্পার ফলন হবে এমন লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সকলের সম্মেলিত প্রচেষ্টায় এবারও ধানের বাম্পার ফলন হবে। তিনি আরও বলেন, কৃষকদের সার-কীটনাশকের চাহিদা পুরণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সার-কীটনাশকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার কারণে সার-কীটনাশকের সঙ্কটের কোন সম্ভাবনা নেই এই উপজেলায়। কিন্তু মহামারী করোনা ভাইরাস এর কারণে কৃষকদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।
কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, বিগত বছরের ন্যায় এবারও ইরি-বোরোর ভরা মৌসুমে সার ও সেচ কাজের জন্য সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে ইরি-বোরোতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম , মোঃ জনাব আলী, হযরত আলী, এখন পর্যন্ত আাবহাওয়া ভালো আছে। কিন্তু মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সামনের দিকে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে আশানানুরূপ ফলন উৎপাদন করা সম্ভব।