ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ দাবি করেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ৮০ ফুট দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলেছে। তাদের দাবি, ভারতের উত্তরবঙ্গের চোপরা-ফতেহপুর সীমান্ত চৌকিতে এক তল্লাশি অভিযানের সময় এ সুড়ঙ্গের দেখা মেলে। বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গরু আনা-নেওয়ার জন্য পাচারকারীরা এ সুড়ঙ্গ তৈরি করে থাকতে পারে বলে বিসএসএফ ধারণা করছে। তবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি জানিয়েছে, এ ধরনের কোনও সুড়ঙ্গের কথা তাদের এখনও জানানো হয়নি।
বিএসএফের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) দেবী শরণ সিংহ কিষাণগঞ্জে বাহিনীর সেক্টর সদর দফতরে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই-কে এই সুড়ঙ্গের অস্তিত্বের কথা জানান। ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া- পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পাচারকারীরা কাঁটাতারের নিচে মাটির গভীরে এই সুড়ঙ্গ খনন করছিল। ডিআইজি আরও বলেছেন, রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একটি চা বাগানের মধ্যে দিয়ে ওই সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছিলো।
এই সুড়ঙ্গের খোঁজ মেলার পর সীমান্ত-নজরদারি আরও জোরদার করেছে বিএসএফ।
বিজিবি’র সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহিদ হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সিলেট সীমান্তে সুড়ঙ্গের বিষয়টি তাদের জানা নেই। বিএসএফ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি।
গত ২০ বছরে পাকিস্তান সীমান্তে অন্তত ছয়টি সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে বিএসএফ। সবশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মির সীমান্তের সাম্ভা এলাকায় একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ মেলে। পাকিস্তান থেকে ভারতে অনায়াসে অনুপ্রবেশের জন্য এ সুড়ঙ্গ খোঁড়া হচ্ছিল বলে অনুমান করা হয়। সে সুড়ঙ্গটি ২০ ফুট দীর্ঘ এবং আড়াই ফুট চওড়া ছিল।
মার্চের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সংলগ্ন মেঘালয় সীমান্তের কাছাকাছি ২০-২৫ ফুট গভীরে একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান মিলেছিল। সীমান্তের কাঁটাতার থেকে এর দূরত্ব ছিল ২০০ মিটারের মতোন। এবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরে সুড়ঙ্গ শনাক্ত করার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সীমান্তে সুড়ঙ্গ শনাক্তের দাবি করল বিএসএফ।